কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সেনবাগে অবরুদ্ধ চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করলো পুলিশ

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউপির চাঁদপুর গ্রামে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কামরুজ্জামান পলাশকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো বিক্ষুব্ধ জনতা। ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় সেনবাগ থানা পুলিশের এস আই গৌরসাহার নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে। সেনবাগ থানার এস আই সাইফুল ইসলাম জানান, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম আবদুল খালেক চেয়ারম্যান বাড়ির বেলাল হোসেন (৬০) ও একই বাড়ির হাফিজা বেগম বেবীর (৪৬) মধ্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিলো। গত বুধবার পথের জায়গা নিয়ে উভয়পক্ষের মনোনীত ব্যক্তিদের সিদ্ধান্তে ৩ জন আমিন দিয়ে সীমানা নির্ধারণের কথা ছিল। যথারীতি আমিনরা কার্যক্রম শুরু করলে দু’পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এনিয়ে দুপুর পর্যন্ত উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। স্থানীয় লোকজন জানান, আওয়ামী লীগ নামধারী মহিলা নেত্রী হাফিজা বেগম বেবী পথের জায়গা সম্প্রসারণ করতে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান পলাশের সহযোগিতা চায়। দুপুর আড়াইটায় চেয়ারম্যান ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ২৫-৩০ জনের দলবল নিয়ে অতর্কিতভাবে একই বাড়ির মো. বেলাল হোসেন (৬০) এর আম, জাম, কাঁঠাল, সুপারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩০টি গাছ কেটে ফেলে। এ সময় বেলাল হোসেন বাধা দিলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করলে পুরো চাঁদপুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ৩টায় এলাকার লোকজন চাঁদপুর খন্দকার বাড়ি জামে মসজিদ ও মোক্তার বাড়ি জামে মসজিদের মাইকে ডাকাত ঢুকেছে বলে ঘোষণা দেয়। এরপরই এলাকার হাজার হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরো বাড়িটি ঘিরে ফেলে। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা ধরে ২৫-৩০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান পলাশ কথিত আওয়ামী লীগ নেত্রী হাফিজা বেগম বেবীর ঘরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশি সাহায্য নিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় রক্ষা পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি কামরুজ্জামান পলাশ। ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ কর্মী বেলাল হোসেন রোপিত ও দখলীয় গাছ কাটার বিষয়ে জানান, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে হাফিজা বেবী আমার গাছ কেটে সাবাড় করেছে। এ ব্যাপারে হাফিজা বেগম বেবীর টেলিফোনে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। ঘটনার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি কামরুজ্জামান পলাশ বলেন, অবরুদ্ধের বিষয়টি সঠিক নয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম বিষয়টি মীমাংসা করতে তাকে সেখানে পাঠায়। সেনবাগ থানার (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, কামরুজ্জামান পলাশকে পুলিশ উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ভিকটিম অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত