কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

১৯ মাস পর প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের প্রস্তুতি

মানবজমিন প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

প্রায় ১৯ মাস পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশ সফর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী মাসে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠেয় ৭৬তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে সরকার প্রধানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সশরীরে অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ঘোষণা মতে, ১৪ই সেপ্টেম্বর থেকে দু’সপ্তাহব্যাপী সাধারণ অধিবেশন হবে। যাতে হাই লেভেল জেনারেল ডিবেট পর্ব বা শীর্ষ নেতাদের ভাষণ শুরু হবে ২১শে সেপ্টেম্বর থেকে। নিউ ইয়র্কে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফিজিক্যাল অধিবেশন আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকার কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, নিউ ইয়র্কের করোনা পরিস্থিতি গত সপ্তাহ পর্যন্ত বেশ নিয়ন্ত্রণে ছিল। গত দু’দিনে সংক্রমণ খানিকটা বেড়েছে। এতে নির্দেশনায় পরিবর্তন আসতে পারে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে এক কর্মকর্তা বলেন, আগাম প্রস্তুতি রাখতে হয়, না হলে শেষ সময়ে এসে সফর বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত সরকার প্রধানের নিউ ইয়র্ক সফর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেই বিবেচনায় প্রস্তুতি-কর্ম শুরু হয়েছে। কিন্তু পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে দেশে এবং যুক্তরাষ্ট্রে করোনা কতোটা নিয়ন্ত্রণে থাকে তার ওপর। শেষ সময়ে এসেও সফরের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত যে নির্দেশনা তাতে সাধারণ অধিবেশন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকালে তিনজন এবং দ্বিপক্ষীয় সাইড লাইন বৈঠকে ৫ জন প্রতিনিধি সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারবেন। করোনার কারণে জাতিসংঘ সদর দপ্তর এবার কোনো লাঞ্চ, ডিনার বা সাইড ইভেন্টের আয়োজন রাখছে না। উল্লেখ্য, গেল বছর ভার্চ্যুয়াল এবং ফিজিক্যাল উভয় প্রতিনিধিত্বের মিশেলে হয়েছিল ৭৫তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশন। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার কারণে ইতিহাসে প্রথম ব্যতিক্রমী সেই অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণ ছিল ভার্চ্যুয়ালি। তবে তাদের একজন প্রতিনিধি ফিজিক্যালি নিউ ইয়র্কের অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। সেই অধিবেশনে বিশ্ব নেতাদের রেকর্ডকৃত ভাষণ সম্প্রচার করা হয়। সর্বোচ্চ ১৫ মিনিটের ওই ভাষণটি কমপক্ষে পাঁচদিন আগে জমা নিয়েছিল জাতিসংঘ সদর দপ্তর। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম কূটনৈতিক সমাবেশ। বিশ্ব নেতাদের এ সম্মেলনের ফাঁকে নিজেদের মধ্যে আরও কয়েকশ’ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভার মধ্যে অনেক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও থাকে। করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এবারের ৭৬তম অধিবেশনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে এক কর্মকর্র্তা বলেন, অত্যাসন্ন সামিটে করোনার মতো আকস্মিক এবং বিশ্বকে কাবু করা জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত দুর্যোগ থেকে উত্তরণে করণীয় বিশেষ করে সবার জন্য টিকার সংস্থান বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসবে। স্মরণ করা যায়, ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত সংস্থাটির সাধারণ পরিষদের অধিবেশন কখনো বাতিল হয়নি। তবে, তা দু’বার স্থগিত হয়েছিল। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলার কারণে এবং তারও আগে ১৯৬৪ সালে আর্থিক সংকটের কারণে স্থগিত ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে তা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের ৪-৮ই ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ বিদেশ সফর হয়েছিল। সেটি ছিল ইতালিতে। পূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সফর ছিল এটি। এবারে অধিবেশনে বাংলাদেশ সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে: এদিকে আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবে। জুনে বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সর্বসম্মতিক্রমে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়। সেই নির্বাচনে কুয়েত, লাউস ও ফিলিপাইনও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে। এক বছর মেয়াদি ওই দায়িত্ব সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হবে। উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ মেয়াদে ৭১তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে বাংলাদেশ সর্বশেষ সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত