কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সন্তান নিজের নয় বলে খুন করলেন বাবা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২১, ০০:০০

সন্তান নিজের নয়, এ সন্দেহে নয় বছর বয়সী পুত্রকে জবাই করে হত্যা করেন পিতা। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গত রোববার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সৌদি প্রবাসী বাদল মিয়া (৩৮)। বাদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের নদ্দাপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাকিম আনোয়ার সাদাত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। সদর মডেল থানা পুলিশ জানায়, গত ২৪শে জুলাই সকালে ঘাস কাটার কথা বলে বাড়ি থেকে প্রায় ১ এক কিলোমিটার দূরে জাঙ্গালবিলে মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছেলে সায়মনকে নিয়ে যায় বাদল। এ সময় বাদলের এক ভাগিনাও সঙ্গে ছিল। পরে ভাগিনাকে কৌশলে বাড়িতে পাঠিয়ে ঘাস কাটার কাঁচি দিয়ে (স্থানীয়ভাবে বগা কাঁচি হিসেবে পরিচিত) শিশুপুত্র সায়মনকে জবাই করে হত্যা করে বাদল। এরপর মরদেহ জমিতে ফেলে রেখে বাড়িতে ফিরে আসে এবং মায়াকান্না করতে থাকে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ওইদিনই সায়মনের মা মিলি বেগম সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পরদিন পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে বাদল মিয়াকে আটক করে। সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, বাদল মিয়া গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পারিবারিক কলহের জেরে ছেলে মো. সায়মনকে হত্যা করে বলে স্বীকার করে। এরপর আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে। আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে সে জানায়, ২০০৫ সালে সৌদি আরব যায় সে। ২০১২ সালে পাঁচ মাসের ছুটিতে দেশে এসে মামাতো বোন মিলিকে বিয়ে করে ফের সৌদি আরব চলে যায়। সৌদিতে চলে যাওয়ার মাসখানেক পরে বাদল জানতে পারে তার স্ত্রী ৯ মাসের গর্ভবতী। এরপর থেকেই স্ত্রীর প্রতি সন্দেহের সৃষ্টি হয় তার। এরই মধ্যে স্ত্রীর গর্ভে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সায়মন নামের ওই পুত্র সন্তান জন্ম হওয়ার পর বাদল একাধিকবার দেশে আসেন। এরপর তার স্ত্রীর গর্ভে আয়মন ও নাঈম নামে আরও দুই পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬ ও ৪ বছর। বাদল আদালতকে জানায়, বর্তমানে দুবাই প্রবাসী বজলু মিয়া নামে স্থানীয় এক মাদ্রাসার হুজুরের সঙ্গে তার স্ত্রী মিলির বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। জন্মের পর থেকেই সায়মন তার সন্তান নয় বলে স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ করতেন। তার সঙ্গে সায়মনের চেহারা-সুরতের মিল নেই বলেও মনে করেন তিনি। সেই সন্দেহের বশেই সায়মনকে খুন করেছে বলে আদালতকে জানায় বাদল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে