কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহাগ ট্রাক্টর চালক

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২১, ০০:০০

যে বয়সে হাতে থাকার কথা বই, খাতা ও কলম সেই হাতে চালাচ্ছেন শক্ত লোহার ট্রাক্টর। করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পরিবারের অভাব মেটাতে ধান ক্ষেতে শক্ত লোহার ট্রাক্টর দিয়ে অন্যের জমি আবাদ করে দিচ্ছেন গছানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহাগ (১০)। গতকাল সোহাগের কোমল হাতে শক্ত লোহার ট্রাক্টর চালানোর দৃশ্য চোখে পড়ে। সোহাগ দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের দিন মজুর হারুন মৃধার বড় ছেলে। স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে দিন মজুর হারুন মৃধার সংসার। সোহাগ বলেন, মহামারি করোনা শুরু হলে প্রায় দিন কর্মহীন থাকতে হয় তার বাবা হারুন মৃধাকে। সংসারে চরম অভাব শুরু হয়। তাদের এক বেলা খেয়ে থাকতে হতো। সোহাগ আরও জানান, পাশের বাড়ির ট্রাক্টর মালিক ইমরান চাচা (ইমরান হোসেন) তার বাবাকে দৈনিক ৫০ টাকা মজুরিতে কাজ করার প্রস্তাব করলে সোহাগের বাবা হারুন মৃধা রাজি হয়ে সোহাগকে ইমরান হোসেনের সঙ্গে কাজে লাগিয়ে দেন। সোহাগের বাবা হারুন মৃধা বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ, আমার হাতেও কাজ থাকে না তাই সংসারের অভাব মেটাতে সোহাগকে ট্রাক্টর চালানোর কাজে লাগিয়েছি। ট্রাক্টর মালিক ইমরান হোসেন বলেন, সোহাগ এই এক বছর আমার সঙ্গে থাকতে গিয়ে ট্রাক্টর চালানো শিখে গেছে আমি নিজেই ট্র্‌াক্টর চালাই তবে যখন আমি ক্লান্ত হয়ে ক্ষেতের পাশে বিশ্রাম নেই ও তখন ট্রাক্টর চালায়। গছানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসেন আহমেদ বলেন, বিস্কুট বিতরণের সময় সোহাগ বিদ্যালয়ে আসেন এ ছাড়া সে ট্রাক্টর চালায় কিনা আমার জানা নেই। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমীন করোনা পজেটিভ হওয়ায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আল মামুন বলেন, করোনার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও কোনো শিক্ষার্থী যেন ঝড়ে না পড়ে সে ব্যাপারে উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নেয়া ও তদারকি করার নির্দেশ দেয়া আছে। কোনো শিক্ষক তাদের দায়িত্বে অবহেলা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে