কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যেসব কারণে হাজার হাজার টাকায় বিক্রি হয় একেকটি আম

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২১, ০০:০০

মিয়াজাকি আম। জাপানে তাইয়ো নো তামাগো (Taio no tamago) বা ‘সূর্যডি’ও বলা হয়ে থাকে একে। এই আমের জাত সাধারণত জাপানের মিয়াজাকিতে ফলে এবং সমগ্র জাপানে বিক্রি হয়। মিয়াজাকি আমের পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪নামকরণ করা হয়েছে জাপানের মিয়াজাকি শহরের নামেই। এই শহরেই এর ফলন সবচেয়ে বেশি হয়। ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে মিয়াজাকি আম। বলা হচ্ছে, প্রতি কেজি আমের দাম লাখ লাখ টাকা। একেকটি আমের দাম হাজার হাজার টাকা। পুষ্টিসমৃদ্ধ আমের এই জাতের চাষ বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে। এ আম প্রথমবারের মতো চাষ করে সফল হয়েছেন খাগড়াছড়ির হ্লাশিমং চৌধুরী। এই আম নিয়ে দেশ-বিদেশের পত্রপত্রিকায় অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আমটি নিয়ে জনমনে কৌতুহলও অনেক। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এই আমের দাম এতো বেশি কেন? বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পত্রপত্রিকা ঘেটে মানবজমিনের পাঠকদের এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হলোঃমিয়াজাকি আমের চাষ অন্য সাধারণ আমের মতো নয়। জাপানে কেবল ‘অর্ডার’ পেলেই এই আমের চাষ করা হয়। আমটি চাষ করতে বিশেষ যত্ন ও বাড়তি পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। জাপানের মিয়াজাকি স্থানীয় পণ্য ও বাণিজ্য প্রচার কেন্দ্রের মতে, এপ্রিল থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে এই আমের চাষ করা হয়। এই জাতের আম চাষের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত, উষ্ণ আবহাওয়া এবং দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের আলোর প্রয়োজন।আম পাকার বেশ কয়েকদিন আগে থেকে প্রত্যেকটি আমকে হুকের সাহায্যে সূর্যের দিকে টেনে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এজন্য আমকে ছোট জালের মধ্যে ভরে রাখা হয় যেনো সূর্যের আলো আমের সমস্ত অংশের উপর পড়ে। এর ফলে এতে চুনির মতো লাল রঙ ধরে। এছাড়া ভালোভাবে রোদ লাগানোর কারণে এই আমের স্বাদও বেড়ে যায়। এদিকে, জালে থাকার কারণে ফল গাছ থেকে পড়ে যায়না। জাপানে মিয়াজাকি আম দেশজুড়ে বিক্রির আগে কঠোরভাবে চেকিং ও টেস্টিং করা হয়। যেই আমগুলো পরীক্ষায় ‘সর্বোচ্চ মানোত্তীর্ণ’ হয় কেবল সেগুলোকেই ‘সূর্যডিম’ নামে অভিহিত করা হয়।এই আম দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি স্বাদেও সুস্বাদু এবং রসালো। সাধারণ আমের চেয়ে এতে শর্করার পরিমাণ বেশি। জাপান সরকার দেশটির বিশেষ এই আম বৃটিশ রাণী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের উপহার দিয়ে থাকে।মিয়াজাকি আমের পুষ্টিগুণও অনেক। এই আমে যেমন প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, তেমনি বিটা-ক্যারোটিন এবং ফলিক অ্যাসিডও রয়েছে। চোখের জন্য বা যাদের দৃষ্টিশক্তি কম তাদের জন্য এটা প্রয়োজনীয়। আন্তর্জাতিক বাজারে এই আমের দাম সবমিলিয়ে আকাশছোঁয়া।এদিকে, সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বাংলাদেশের হ্লাশিমং চৌধুরীর উৎপাদিত মিয়াজাকি আম খেয়ে এর স্বাদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে