কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যাত্রী বোঝাই বাসে দ্বিগুণ ভাড়া

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২১, ০০:০০

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা-কুড়িল রাস্তায় চলাচলরত বিআরটিসি বাসে চরম যাত্রী হয়রানি চলছে। যাত্রী বোঝাই বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, সেতুর টোল ফাঁকি আর কাউন্টার বন্ধের অভিযোগ উঠেছে এই পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে।  শুধু তাই নয়, এ রাস্তায় চলাচল করতে দেয়া হয় না অন্য কোনো গণপরিবহন। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি চরম ঝুঁকিতে পড়েছে এই পরিবহনে চলাচলরত যাত্রীদের। রূপগঞ্জের কুড়িল-ভুলতা রুটে একমাত্র চলাচলরত রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) আর্টিকুলেটেড বাসগুলো এই নিয়ম মানছেন না।জানা গেছে, মাত ভুলতা থেকে কুড়িল পর্যন্ত মাত্র ২০ কিলোমিটার সড়কের ভাড়া নিচ্ছেন ৬৫ টাকা। অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাবনা থাকলেও ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আসনগুলো পরিপূর্ণ করে দাঁড়িয়েও নেয়া হচ্ছে যাত্রী। এ ছাড়া ২০টি কাউন্টারের মধ্যে কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ১৪টি কাউন্টার। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটের যাত্রীরা। ইচ্ছেমাফিক ভাড়া আদায় করতে এ রুটে অন্য কোনো গণপরিবহন চলতে দেয়া হয় না। ইজারাদারের পক্ষে বিআরটিসির নিয়ন্ত্রণ করেন  সরকারদলীয় স্থানীয় নেতাকর্মীরা। শুধু তাই নয় কাঞ্চন সেতুতে টোল ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে। ৩২৫ টাকার টোল দেয়া হয় মাত্র ১২৫ টাকা।এ ব্যাপারে জানতে সেতুর টোল আদায়কারী সংস্থার প্রকল্প পরিচালক কারিবুল ইসলাম জানান, বিআরটিসির সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে করা আবেদনের কারণে তাদেরকে ৩২৫ টাকার পরিবর্তে ১২৫ টাকা টোল প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়। যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগও রয়েছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে। কাঞ্চন থেকে কুড়িলগামী যাত্রী মাসুদ চৌধূরী জানান, তিনি মায়ারবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে কাউন্টার বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে সেতুর পশ্চিমপাড়ে গিয়ে (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬৫২২) বাসে ওঠেন। কিন্তু তাকে টিকেট না দিয়ে কুড়িলের ২০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা দাবি করেন বাসের সহকারী। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে অসদাচরণ করেন সে। কাঞ্চন এলাকার যাত্রী তাহমিদুল ইসলাম আকাশ অভিযোগ করে বলেন, গাউছিয়া থেকে কুড়িল বিশ্ব রোড পর্যন্ত একমাত্র বিআরটিসি বাসই চলাচল করে। গাউছিয়া থেকে কুড়িল বিশ্ব রোডের ভাড়া ৪০ টাকা হলেও অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৬৫ টাকা। এ রুটে অন্য কোনো গণপরিহন না থাকায় সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাচল করছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জের বিআরটিসি বাসের ঠিকাদার জিল্লুর বলেন, স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে আমরা কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। অতিরিক্ত যাত্রী নিলে সেই টাকা আমরা কিংবা বিআরটিসি পাই না। চালক আর সহকারীরা রাস্তা থেকে অনিয়ম করে এসব অতিরিক্ত যাত্রী উঠায়।গাজিপুর বিআরটিসি বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান বলেন, বিআরটিসিতে যাত্রী হয়রানি হলে প্রতিটি বাসে আমাদের হটলাইন নাম্বার দেয়া আছে। কোনো যাত্রী অভিযোগ করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেই। তবে বর্তমানে বাস সংকট আর রাস্তা খারাপ হবার কারণে যাত্রীদের কিছুটা হয়রানি হতে হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত