কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লকডাউন-বিধিনিষেধ দিয়েও কমছে না সংক্রমণ, মৃত্যু

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২১, ০০:০০

কয়েক দফা কঠোর লকডাউন ও বিশেষ বিধিনিষেধেও কমছে না চাঁপাই নবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু। গত সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমলেও চলতি সপ্তাহে আবারো সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, জেলাবাসী সচেতন না হওয়ায় বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। চাঁপাই নবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় মোট ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন এবং তৃতীয় দফায় বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করে স্থানীয় প্রশাসন।স্থানীয়রা জানান, কঠোর লকডাউনে প্রশাসনের কঠোর তৎপরতা থাকায় সংক্রমণ কিছুটা কমে আসে। কিন্তু শিথিল করে বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করে শহরে ঢিলেঢালা তৎপরতা চলছে। আর গ্রামে প্রশাসনের তৎপরতা নেই বললেই চলে। এই সুযোগে মানুষ সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, কঠোর বিধিনিষেধে প্রশাসন সর্বোচ্চ তৎপরতায় থাকলেও এখনো যাদের করোনা হয়নি তারা করোনা বিশ্বাস না করায় সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে। যারা এখনো করোনায় আক্রান্ত হয়নি তারা মনে করে করোনা কোনো অসুখই না, এটা কোনো ব্যাপারই না। কিন্তু যখনই আক্রান্ত হয় তখনই কিন্তু তারা একটা বিপদ ডেকে আনে। নিজ থেকে সচেতন না হলে প্রশাসন সবকিছু করতে পারবে না জানিয়ে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় সংকটাপন্ন রোগীদেরকে রাজশাহীতে পাঠাতে হচ্ছে। জেল জরিমানা দিয়ে আসলে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। জনগণের মধ্যে নিজের পরিবার এবং সমাজের জন্য যে দায়বদ্ধতা এটাকে যদি উদ্বুদ্ধ করা না যায় তাহলে মুশকিল। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, চাঁপাই নবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরটিপিসিআর ল্যাবে ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদরে ২৫, শিবগঞ্জে ২২, গোমস্তাপুরে ৮ ও নাচোলে ৮ জন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১.৫০ শতাংশ। আর র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৩৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদরে ১৬, শিবগঞ্জে ৫, গোমস্তাপুরে ৩, নাচোলে ৩ ও ভোলাহাটে ৩ জন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৭.৬৯ শতাংশ। এ ছাড়া জিন এক্সপার্ট টেস্টে ১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮১.৮১ শতাংশ। পরীক্ষার বিপরীতে মোট গড় শনাক্তের হার ১৬.৯৭ শতাংশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে