কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২১, ০০:০০

চিকিৎসার অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে ৩ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী সুপারকে  তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল  ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মৃত ডা. তৌফিক এনামের বাবা আক্তারুজ্জামান মিয়া। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।মামলার আসামিরা হলেন- কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব খান (কনসালটেন্ট ল্যাপারোস্কপিক সার্জন), ল্যাব এইড হসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডিপার্টমেন্টের ডা. মামুন আল মাহতাব ও বিআরবি হাসপাতালের প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আলীকে আসামি করা হয়েছে।আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ জানান, গত ৩০শে মে রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডা. তৌফিক এনামের মৃত্যু হয়। বাদীর ছেলে ডা. তৌফিক এনামকে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে মামলাটির আবেদন করেন। ডা. তৌফিক এনামের বাবা আক্তারুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন, তিনি নিজে একজন ফিজিও থেরাপিস্ট। ৫ নম্বর সাক্ষী  মেহেবুবা সুলতানাও একজন চিকিৎসক।মামলার আর্জিতে বলা হয়, তৌফিক এনাম অসুস্থ হলে গত ৪ঠা মে কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. আব্দুল ওহাব খানকে দেখান। তার অধীনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গলব্লাডারে পাথর ধরাপরার কথা জানানো হয়। ৫ই মে ডা. ওহাব অস্ত্রোপচার করেন। পরদিন ডা. তৌফিক এনামকে ছাড়পত্র দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ৯ই মে তৌফিক এনামের অবস্থার অবনতি হলে তারা ডা. ওহাব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি আবারও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জরুরি ভিত্তিতে ল্যাবএইড হাসপাতালে ডা. মামুন আল-মাহতাব স্বপ্নীলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।আর্জিতে আরো বলা হয়, ডা. স্বপ্নীল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাদের বলেন, গলব্লাডার অপারেশনের সময় ‘ভুল জায়গায় ক্লিপ’ লাগানো হয়েছে। এরপর ডা. স্বপ্নীল দইআরসিপি উইথ স্টেন্টিং’ করেন। কিন্তু রোগীর অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকলে তিনি জরুরিভিত্তিতে বিআরবি হাসপাতালের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর কাছে পাঠান।মামলায় বলা হয়, ৩০শে মে বিআরবি হাসপাতালে তৌফিক এনামের অস্ত্রোপচারের সময় তার বাবাকে প্রথমে ৩ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হবে বলে জানানো হয়। ৩ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করার পর আরও ৪ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন বলে জানান ডা. মোহাম্মদ আলী। এরপর হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বাদীর স্বজনদের কথা কাটাকাটি হয়। এর মধ্যে একপর্যায়ে ডা. তৌফিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আর্জিতে বলা হয়, অভিযুক্তরা অর্থলোভী। তারা মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা নেয়ার জন্য ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করে হাসপাতালে সন্ত্রাসী মস্তান রেখে জোর করে টাকা আদায় করে। শেষ পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা দিয়ে বাদী তার ছেলের মরদেহ হাসপাতাল থেকে গ্রহণ করেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।আর্জিতে বলা হয়, “ডাক্তার তৌফিক এনাম বার বার বলছিলেন যে, ‘ভুল চিকিৎসা হচ্ছে, আমাকে এখান থেকে পিজি (বঙ্গবন্ধু মেডিকেল) হাসপাতালে নিয়ে যাও।’ কিন্তু ৩ নম্বর আসামি ড. মোহাম্মদ আালী  রোগীর বাবা-মা কাউকে কোনো পাত্তা দেননি। তারা জোর করে অপরেশন করার পর রোগী মারা যায়। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা ক্ষমা চান। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক), ৩৮৬, ৪০৬, ৪২০ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী। তার আর্জিতে মোট ৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে