কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ধোবাউড়ায় পানিবন্দি ১০ পরিবার

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২১, ০০:০০

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে প্রায় ১০টিরও অধিক পরিবার। উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাসপাতাল মোড়ে উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত বসতবাড়িগুলোতে অল্প বৃষ্টিতেই পানি ওঠে। পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার কারণে বসতঘর, রান্নাঘর তলিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে শুকনো খাবার খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। সন্ধ্যা হলেই ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে থাকতে হয় সাপ আতঙ্কে। রাতে ঘরে ওঠে বিভিন্ন প্রজাতির বিষাক্ত সাপ। কিন্তু দেখার যেন কেউই নেই। এছাড়াও হাসপাতাল মোড় থেকে ঘোষগাঁওগামী রাস্তাটির উপরও পানি জমে থাকে। সরজমিন দেখা যায়, ধোবাউড়া-ঘোষগাঁও এলজিইডি রাস্তায় পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি সরকারি রিং কালভার্ট অকেজো হয়ে আছে। স্থানীয়রা জানান, আব্দুর রশিদের বাড়ির সামনে পানি চলাচলের জন্য আরেকটি রিং দেয়া ছিল। সম্প্রতি তিনি মাটি ভরাট করে পানি চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুর রশিদ বলেন, ‘পূর্বে মোতালেব প্রফেসরের বাসার দিকে পানি চলাচলের ড্রেন ছিল। তিনি ড্রেনটি বন্ধ করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করেন। পরে আমার জায়গা দিয়ে একটি রিং দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাড়ি করার জন্য আমি এখানে মাটি ভরাট করেছি। আ. রশিদ আরও বলেন, পানিতে তলিয়ে যাওয়া আমার পুকুরের প্রায় এক লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।’ ধোবাউড়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক শিক্ষক আ. মোতালেব বলেন, অতীতে আমার বাসার পাশ দিয়ে পানি চলাচলের জন্য একটি ড্রেন ছিল, আমার নতুন বাসা নির্মাণ  করার সময় ড্রেনটি বন্ধ হয়ে যায়। পানিবন্দি আবুল কালাম বলেন, সারা উপজেলায় যেখানে পানিবন্দির কোনো চিত্র নেই অথচ উপজেলা সদরে আমাদের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ছোট্ট বাচ্চা ও আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে একদিকে নোংরা পানির কারণে রয়েছি রোগ আতঙ্কে অপরদিকে বিষাক্ত সাপ আতঙ্ক। রান্নাঘরে পানি ওঠায় প্রায় ২০ দিন ধরে অন্যের বাড়ি থেকে রান্না করে এনে খাবার খাচ্ছি এবং বেশিরভাগ সময় আমাদের শুকনো খাবার খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে পানিবন্দি আ. বারেক বলেন, নির্বাচনের সময় চেয়ারম্যান মেম্বাররা আমাদের বাড়িতে আইসা ভোটের লাইগ্‌গা আমাদের পাশে থাকবো কয়! অহন আমরার ঘরে পানি! রাইন্ধ্যা খাইতারতাছিনা অহন কেউ দেহে না। আ. বারেকের মতো পানিবন্দি পারিবারগুলো জনপ্রতিনিধিদের উপর চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জামান বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে