রোগীর চাপে খুলনা মেডিকেলের শয্যা বৃদ্ধি
খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৭৬৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। করোনা পরিস্থিতি ক্রমে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। শহর থেকে গ্রামগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় ৪ জন, কুষ্টিয়ায় ৪ জন, যশোরে ৩ জন, চুয়াডাঙ্গায় ২ জন, মেহেরপুরে ২ জন, বাগেরহাটে ১ জন, মাগুরায় ১ জন ও ঝিনাইদহে ১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।এদিকে কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোস্তফা শফিকুল ইসলাম ঢালী প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি নিজ বাসায় হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, হঠাৎ করেই কয়রায় করোনার প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তাদেরকে শুকনা খাবার ও ফল দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়ায় উপজেলা প্রশাসন থেকে সতর্কতামূলক প্রচারণা করা হয়েছে। অপরদিকে করোনা রোগী বাড়তে থাকায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ১০০ শয্যার করোনা ইউনিটকে ১৩০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুর থেকে ১৩০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, করোনা ইউনিটে ৩০টি শয্যা বাড়িয়ে ১৩০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।