কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মাহারাম নদীর মুখ থেকে বালি উত্তোলন, হুমকির মুখে বাঁধ

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২১, ০০:০০

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মাহারাম নদীর মুখে দীর্ঘদিন ধরে ভরাট হওয়া বালি উত্তোলন না করতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। গত রোববার জনস্বার্থে এ আবেদনটি করেন উপজেলার ৪নং বড়দল (উত্তর) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম। জানা যায়, উপজেলার ৪নং বড়দল (উত্তর) ইউনিয়নের রাজাই মৌজার চালিয়ারঘাট মানসীগোফ মৌজাস্থিত ও মাহারাম (পাইলট) নদীর সঙ্গে যাদুকাটা নদীর সংযোগ থাকায় বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে প্রবল স্রোতে নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ও বোরো ধানের হাওরসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে যেতো। অকাল বন্যায় হাওরের বোরো ফসল রক্ষার জন্য যাদুকাটার শাখা মাহারাম নদীর মুখে প্রতি বছরই লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ দেয়া হতো। একপর্যায়ে পাহাড় থেকে নেমে আসা পলি বালিতে এবং ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় পাহাড়ি ঢলে মাত্রাতিরিক্ত বালি এসে স্থায়ীভাবে ভরাট হয়ে যায় মাহারাম নদীর মুখ। ফলে ৩৩ বছর ধরে বোরো ফসল রক্ষায় মাহরাম নদীতে আর বেড়িবাঁধ দেয়ার প্রয়োজন পড়ছে না।  বেশ কিছুদিন ধরে কিছু দুষ্কৃতিকারী ও এলাকার সঙ্গবদ্ধ একটি প্রভাবশালী চক্র বিভিন্ন পন্থায় মাহারাম নদীর মুখ থেকে বালি উত্তোলন করার পাঁয়তারা করছে। গত কয়েকদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র স্থায়ীভাবে বালিতে ভরাট হওয়া মাহারাম নদীর মুখে সীমানা নির্ধারণ করে ইচ্ছেমতো বালি উত্তোলন করার চেষ্টা করছে। ফলে পর্যটন স্পট খ্যাত শিমুল বাগানসহ নদীর পাড়ের অর্ধশতাধিক গ্রাম হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহার আলী বলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে বালিতে ভরাট হওয়া মাহারাম নদীর মুখ থেকে বালি উত্তোলন করলে সুষ্ট বাঁধ ভেঙে ভাটি এলাকার হাওররক্ষা বাঁধসহ অর্ধশতাধিক গ্রাম হুমুকিতে পড়বে। শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খসরুল আলম বলেন, মাহারাম নদীর মুখে প্রাকৃতিক উপায়ে পলি পড়ে বিশাল বালির বাঁধ সৃষ্টি হওয়ায় ভাটি এলাকার হাওর পাড়ের মানুষের জন্য আশির্বাদ। যদি এ বাঁধটির মুখ থেকে বালি উত্তোলন করা হয় তাহলে উত্তর বড়দল, দক্ষিণ বড়দল ও উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামসহ হাওরের বোরো ফসল হুমকির মুখে পড়বে। মাটিয়ান হাওর উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদ বলেন, মাহারাম নদীর স্থায়ী বাঁধটি কেটে বালি নিয়ে গেলে শুধু মাটিয়ান হাওর নয়, উপজেলার সবকটি বোরো ফসলি হাওর আগাম বন্যার হুমকিতে পড়বে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার ৩টি নদীতে মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট লিজ দিয়েছেন। লিজ ব্যতীত কোনো স্থান থেকে অবৈধভাবে কেউ বালি উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে