কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত নথি হাইকোর্টে তলব

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২১, ০০:০০

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন সম্পর্কে সরকারের কাছে থাকা সব নথিপত্র ৬০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের বিভিন্ন তারিখ ব্যবহার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মামুন অর রশিদের করা এক রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়া হয়।পররাষ্ট্র সচিব, নির্বাচন কমিশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদেরকে এসব নথিপত্র দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও বিপুল বাগমার। শুনানিতে যুক্ত হয়ে রিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি প্রতিবেদন আকারে ৬০ দিনের মধ্যে আদালত দাখিল করার আদেশ দেয়া হয়েছে। রিট আবেদনে খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্মদিন ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তার এসএসসির নম্বরপত্রে জন্মতারিখ ৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৪৬। বিবাহ নিবন্ধনে জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ৪ই আগস্ট ১৯৪৪। ২০০১ সালে নেয়া তার মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে জন্মতারিখ ৫ই আগস্ট ১৯৪৬। চলতি বছরের মে মাসে তার করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্মতারিখ লেখা আছে ৮ই মে ১৯৪৬। এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস ১৫ই আগস্ট তিনি জন্মদিন পালন করেন। অপরদিকে, খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে রিট করা হয়েছে।এর আগে খালেদা জিয়ার বিভিন্ন জন্মতারিখ ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মামুনুর রশিদ রিটটি করেন। আবেদনে খালেদা জিয়ার সব ধরনের সনদ (যেগুলোতে জন্মদিন ব্যবহার করা হয়েছে) আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়া খালেদা জিয়ার একটি জন্মদিন নির্দিষ্ট করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়। রিট আবেদনে বিবাদী করা হয় স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, গুলশান থানার ওসি এবং খালেদা জিয়াকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত