কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাজেট প্রণয়নে এমপিদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়নি - সাবের হোসেন চৌধুরী

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২১, ০০:০০

সরকারি দলের সংসদ সদস্যদেরও জাতীয় বাজেট কিংবা সরকারের অন্যান্য নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ দেয়া হয় না বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। গতকাল বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাজেট ডায়ালগ-২০২১’ শীর্ষক বাজেট পরবর্তী আলোচনা সভার গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। সংসদ সদস্যরা শুধু হ্যাঁ বা না বলার জন্য সংসদে আছেন,’ বলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য মন্তব্য করেন। সিপিডি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা, এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দিন, এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজিমসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত তাদের অনুরোধে বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে অন্তত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধানদের পরামর্শ নিতেন। এবং বসে উনি নিজে নোট করতেন। তো এটা এই বছর আর হয়নি। তো আমার মনে হয় না কোনো কমিটির ওনার (অর্থমন্ত্রীর) সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সিস্টেমে সংসদ আসলে খুব একটা আলোচনার মধ্যে আসে না।এসময় অন্যান্য বক্তার বক্তব্যের সূত্র ধরে তিনি বলেন, আপনারা অনেকেই বলেন, বাজেট অবশ্যই অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই হতে হবে। এখানে যেন অপচয় না হয় সেটা দেখতে হবে।কিন্তু আমরা যে আলোচনা করবো, বিতর্ক করবো, আমরা যে ডায়ালগ করবো- এই বেসিসটা তো (ভিত্তি) ঠিক থাকতে হবে। সেটা আমরা কীভাবে করবো।সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, এটা না হলে যে সমস্যাটা হয়, আমরা তো শুধু সংসদে আছি, হ্যাঁ বা না বলার জন্য। আমরা সংসদে আছি মানুষের যে চাহিদার কথাগুলো আছে সেগুলো ব্যাখ্যা করা এবং তুলে ধরার জন্য। কিন্তু আমরা যদি সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকি। তাহলে সেই বিষয়গুলো কেন আসবে? বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের ঘাটতি আছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সেটা আমাদের ঠিক করতে হবে। আবার যদি আমরা মনে করি যে, শুধু সরকার যেটা দেবে, সেটাকেই পাস করে দেয়া, তাহলে তো আমাদের বাজেট অধিবেশনের প্রয়োজন নাই।এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলের ভূমিকা রাখার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আরেকটা ভূমিকা এখানে রাখতে পারে রাজনৈতিক দল। আমাদের সরকারি দল বা মুখপাত্র বাজেটের সঙ্গে সঙ্গেই বলে দেন যে, বাজেটটা ভালো, এখানে সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন আছে।তাদের যদি এই বাজেট আলোচনায় অংশ না থাকে তাহলে জবাবদিহির জায়গাটা কীভাবে তৈরি হবে, জানতে চান তিনি।তিনি বলেন, ‘আরেকটা হচ্ছে বাজেটটা যখন সংসদে উপস্থাপন করা হয়, তারপরে কিন্তু আমি আর পরিবর্তন দেখি না। হয়তো আমাদের দুয়েকজন সংসদ সদস্যের কিছু বিষয় বলা হয়, সেটা ওনারা উত্থাপন করেন। পরে সেগুলোকে মেনে নেয়া হয়। কিন্তু মৌলিক যে কাঠামোর কোনো পরিবর্তন করা হয় না। তারমতে এই প্রক্রিয়ায় বাজেটের গুণগতমান পরিবর্তনে সংসদ সদস্য বা সংসদ তেমন একটা কিছু করতে পারছে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত