কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘সালমান খান হাজার লোকের দায়িত্ব নিচ্ছেন, আমরা কয়েকজনের নেই’

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৭ মে ২০২১, ০০:০০

চিত্রনায়ক ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। সংগঠন পরিচালনায় দক্ষ নেতৃত্বের জন্য বাহবা পেয়েছেন। করোনার এই কঠিন সময়ে শিল্পী সমিতির নেতা হয়ে অসহায় শিল্পীদের পাশে থাকা, অসুস্থ শিল্পীর খোঁজ খবর নেয়া, কোনো শিল্পী মারা গেলে তার পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো এসব কর্মকাণ্ডে তিনি ও তার সংগঠন প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু বাহবা যেমন পেয়েছেন সেই সঙ্গে তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন জায়েদ খানের এসব কর্মকাণ্ড লোক দেখানো এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। মানবজমিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই নেতা ও নায়ক মুখ খুলেছেন পুরো বিষয়টি নিয়ে। আলোচনা-সমালোচনা-অভিযোগ সবকিছুই তিনি ইতিবাচকভাবে নিচ্ছেন। জায়েদ বলেন, কাজ করলে আলোচনা-সমালোচনা হবেই। এগুলো নিয়ে ভাবি না। আমার কাছে মনে হয় এফডিসির মাটি, মানুষ আমাদেরকে তারকা বানিয়েছে। এই মাটি, মানুষের প্রতি আমাদের একটা দায়িত্ববোধ আছে। এখানে অনেক প্রতিভাবান, নামকরা লোক আছেন, তারা যদি একটু সুদৃষ্টি দিতেন তাহলে ইন্ডাস্ট্রির মানুষ অনেক ভালো থাকতো। সবাই এগিয়ে আসলে তাদের সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো না। এতো বড় একটা ইন্ডাস্ট্রির কেন সরকারের কাছে চাইতে হবে বারবার! আপনি দেখেন, বলিউডের কেউ সরকারের কাছে সাহায্য চায় না। সেখানকার শিল্পীরা একে অপরের পাশে আছেন। সালমান খান একাই হাজার লোকের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা হাজার না পারি অন্তত কয়েকজনের দায়িত্ব নেই। তাহলে জিনিসটা হালকা হয়ে যায়। আমি বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট নিয়ে এসির নিচে ঘুমিয়ে আছি। কিন্তু যে আমার সহশিল্পী হিসেবে আমার পেছনে নেচেছে, যে বন্ধুর ক্যারেক্টারে ছিল, যাকে ঘুষি মেরেছি তাকে ভুলে গেলে তো হবে না। সবার সমন্বয়েই কিন্তু শিল্পী হয়েছি। যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতাম তাহলে সব মানুষ ভালো থাকতো। ইন্ডাস্ট্রিতে খুব বেশি মানুষ না। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে আমরা সেটা না করে নিজে ভালো থাকার চেষ্টা করছি। অসহায় শিল্পীরা কষ্টে আছেন উল্লেখ করে জায়েদ খান বলেন, এফডিসির মসজিদে ইফতার করাবে কে সেই লোক খুঁজে পেলাম না। কেউ হয়তো খোঁজ নিতে পারতো তার দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে। এই মসজিদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে। গেটের দারোয়ানরা পর্যন্ত এখানে ইফতার করেন। এক্সট্রা শিল্পীরা এসে বলছিলেন, জায়েদ বাবা ছাড়া আমাদের দেখার কেউ নেই। পরে দায়িত্বটা আমাকেই নিতে হয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে সবাইকে ইফতার করাচ্ছি প্রতিদিন। করোনাকালীন সময়ে ১৪ বার অসহায় শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে শিল্পী সমিতি, এমনটি জানিয়েছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, যারা দিনভিত্তিক কাজ করেন, তাদের হাতে তো এক-দুই বছর ধরে কাজ নেই। কী করবে! হাত পাততেও পারে না। আমরা পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। ১৪ বার অসহায়, বিপদগ্রস্ত শিল্পীদেরকে খাবার ও নগদ টাকা দিয়েছি। তাদেরকে ইফতার সামগ্রীও দিয়েছি। সহযোগিতা করে সেটা প্রচার করার কারণে শিল্পীদের নামের পাশে দুস্থ ট্যাগ লেগে গেছে। এ ব্যাপারে কী বলবেন? জায়েদ বলেন, এটা ভুল ধারণা। সালমান, শাহরুখ খানেরা যখন প্রচার করে তখন কোনো সমস্যা হয় না। আমাদের বেলাতেই যত সমস্যা। ঈদের আগেও শিল্পীদের পাশে থাকবেন উল্লেখ করে জায়েদ খান আরও বলেন, আমরা শিল্পী সমিতি থেকে ঈদেও যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করছি। কাউকে ফেরাবো না। গত ঈদেও ফেরাইনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত