সাবধান! অজান্তে শরীরে কমছে অক্সিজেন
করোনা ধরা পড়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু দিন দুয়েকের মাথায় দিব্যি সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে যান তিনি। দুর্বলতা ছাড়া আর বিশেষ সমস্যা ছিল না। কিন্তু কখন যে শরীরে কমতে শুরু করেছে অক্সিজেনের মাত্রা, তা কেউ বোঝেনি। বস্তুত, রোগী নিজেও বোঝেননি। যখন বোঝা গেল শ্বাসকষ্টের জেরে, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ফের হাসপাতালে ভর্তি করার পর বুধবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের ইনস্পেক্টর দেবজ্যোতি কোনার।
চিকিৎসকরা মনে করছেন, নির্ঘাত হ্যাপি বা সাইলেন্ট হাইপক্সিয়া হয়েছিল ওই পুলিশ অফিসারের। ফুসফুসের অন্দরমহলে প্রদাহ শুরু হয়ে গেলেও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ এতে দেখা যায় না। ফলে বোঝাও যায় না, ফুসফুস ভিতরে ভিতরে অকেজো হয়ে পড়ছে চুপিসারে। অনেক দেরিতে শ্বাসকষ্ট শুরুর পর যখন বোঝা যায় ব্যাপারটা, তখন দেখা যায় ৮৫% বা তারও নীচে নেমে গিয়েছে অক্সিজেন স্যাচুরেশন। বিশেষজ্ঞরা বলছে, ব্যাপক হারে না-হলেও, বাড়িতে থাকা কোভিড রোগীদের মধ্যে এমন নজির বিরল নয়। অথচ নিয়ম করে দিনে চার বার পালস অক্সিমিটার দিয়ে স্যাচুরেশন মেপে নিলে, আগাম চিকিৎসায় এড়ানো যায় বিপদ। সাইলেন্ট বা হ্যাপি হাইপক্সিয়া ব্যাপারটা ঠিক কী?