কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

হাকালুকিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন দাম নিয়ে শঙ্কা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

‘এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ১২ থেকে ১৫ মণ ধান ফলন হয়েছে। আমরা কৃষকরা খুশি। তবে ন্যায্য দরে ধান বিক্রি করতে না পারলে এই খুশি থাকবে না। অনেক কষ্ট আর খরচের ফল এই ধান। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, আমাদের কৃষকদের বাঁচাতে ধানের ন্যায্য দাম নির্ধারণ করে দিন।’ কথাগুলো বলছিলেন হাকালুকি পাড়ের কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের বড়দল এলাকার কৃষক মো. আকুল মিয়া। শুধু আকুল মিয়া নন, নিরুকান্ত দাস, সাকিব, এলাইছ মিয়া, জাবের মিয়া, সালাত মিয়াসহ সব কৃষকের বক্তব্য ছিল এমনটাই। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়ায় এবার ১৭ জাতের ধান রোপণ করেছেন কৃষক। ফলনও ভালো হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। সরজমিন হাকালুকি হাওরের কুলাউড়া অংশের ভূকশিমইল ইউনিয়নের বড়দল, জাব্দা, সাদিপুর, মীরশংকর, বরমচাল ইউনিয়নের আলীনগর, মহলাল চালেরতল বিভিন্ন এলাকা গিয়ে দেখা যায় প্রায় সব জমিতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষিরা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃষকরা অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে শ্রমিক এনে ধান কাটাচ্ছেন। ধান মাড়াইয়ের জন্য মেশিন সংকট নিরসন করতে দূর- দূরান্ত থেকে অনেকে মেশিন নিয়ে এসেছেন হাকালুকিতে। এ রকম একজন পৃথিমপাশা ইউনিয়নের জুবেল মিয়া। তিনি গত ১৪ দিন আগে এসেছেন হাকালুকিতে। আরো ১০-১২ দিন থাকবেন বলে জানিয়েছেন।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মুমিন বলেন, হাকালুকি হাওরের কুলাউড়া অংশের ছয়টি ইউনিয়নে মোট ৭ হাজার ৯১২ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। যা অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। কৃষিবিভাগ ধান কাটার জন্য শ্রমিক সহায়তাসহ ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য কৃষকদের ২টি কম্বাইন্ড হারবেস্টার মেশিন দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আরো ৪টি দেয়া হবে তিনি জানান। এক একটি মেশিন ঘণ্টায় এক একর জমির ধান কাটতে পারবে। এতে কৃষকদের সময় যেমন বাঁচবে, খরচও তুলনামূলক কম হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে