পটুয়াখালীতে ডায়রিয়ায় ৪ জনের মৃত্যু
পটুয়াখালীতে ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১,৫৭৯ জন রোগী সরকারি বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা নিয়েছে। বেডের অভাবে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসাসেবা চলছে। শুধু ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৪৫৫ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন। তিনি জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মির্জাগঞ্জের মাধবখালী ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামের মোসাঃ সাহারা সানফুল (১৫) ও মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়ার আলেক সিকদার (৫০), দুমকি উপজেলায় ৮০ বছরের বৃদ্ধ আঃ হক মুন্সি ও বাউফলের খাদিজা নামের এক মহিলার ডায়রিয়াজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, লবণাক্ততার কারণে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকা এমনিতেই ডায়রিয়াপ্রবণ এলাকা। এরপর আবার অতিরিক্ত খরা, প্রচণ্ড তাপদাহে ডায়রিয়া স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেশি দেখা দেয়ায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং একটু সচেতন হলেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত কমে যাবে। সরজমিন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডের প্রবেশ পথে বারান্দায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা পথের দুই পাশে মেঝেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। এ ছাড়াও হাসপাতালের সাধারণ মহিলা ওয়ার্ড ও পুরুষ ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেতেও রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩৭ জন, বাউফলে ১৯১ জন, কলাপাড়ায় ৬৮ জন, দশমিনায় ১৭৮ জন, গলাচিপায় ১২৮ জন, মির্জাগঞ্জে ৩৪৯ জন, দুমকিতে ৭৩ জন ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৫৫ জন রয়েছেন। এদিকে মির্জাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা জানান, ঋতু পরিবর্তন ও দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে কয়েকদিন ধরে এ এলাকার মানুষ ডায়রিয়া ও পেটের পীড়াজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এখানে স্যালাইন সংকট দেখা দেয়ায় তা সমাধানে স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছেন।
- ট্যাগ:
- অন্যান্য সংবাদ