কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সিলেটে ১৪ পয়েন্টে বাঁশের ব্যারিকেড

মানবজমিন প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

সিলেটের ১৪টি পয়েন্টে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। খুব জরুরি প্রয়োজন ও মুভমেন্ট পাস ছাড়া পুলিশ এসব ব্যারিকেড ভেঙে লোকজনকে চলাচল করতে দিচ্ছে না। ফিরিয়ে দিচ্ছে যানবাহনও। এতে করে কিছুটা ভোগান্তি বেড়েছে সিলেটে। তবে শহরে  লোক সমাগম কমাতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পুলিশের এই কড়াকড়ি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও সিলেট করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। কোনোভাবেই সিলেটে করোনার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। একদিন পরিস্থিতি ভালো হলে অন্যদিনের পরিসংখ্যান আতঙ্কিত করে তোলে সবাইকে। এ কারণে বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে- সিলেটে লকডাউন আরো কঠোরভাবে কার্যকর করা। কিন্তু সিলেটে লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে এসে নগরীতে অনেক বেশি মানুষের চলাচল বেড়েছে। এমনকি ব্যক্তিগত যানবাহন ও ভাড়ায় চালিত সিএনজি অটোরিকশার চলাচল বেড়েছে। এ ছাড়া নগরীর কাঁচাবাজার ও পাইকারি আড়তে করোনা প্রতিরোধে কোনো নিয়মই পালন করা হচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করা হচ্ছে না। এতে করোনা নিয়ে নতুন করে উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে সিলেটে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে- সিলেটে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরো ৩ জন। গতকাল সকাল ১০টার পূর্ব পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই ৩ জন মারা যান। যারা মারা গেছেন সবাই সিলেট জেলার বাসিন্দা। সিলেট বিভাগে করোনায় গতকাল পর্যন্ত ৩১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলার ২৪৪ জন, সুনামগঞ্জে ২৬ জন, হবিগঞ্জে ১৮ জন ও মৌলভীবাজারের ২৬ জন রয়েছেন। নতুন করে সিলেটে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩০ জন। যার মধ্যে ৮৯ জনই সিলেটের। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সুনামগঞ্জের ৬ জন,  মৌলভীবাজারের ১৪ জন, হবিগঞ্জের ৩ জন, ওসমানী মেডিকেলে আরো ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সিলেটের হাসপাতালে ঠাঁই হচ্ছে না রোগীর। ইতিমধ্যে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে করোনা রোগী ছাড়া অন্য কোনো শ্বাসকষ্টের রোগীকে ভর্তি করা হচ্ছে না। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩১৮ জন করোনা রোগী। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৩০০ জন, সুনামগঞ্জে ৩ জন, হবিগঞ্জে ১২ জন, মৌলভীবাজারে ৩ জন। করোনাভাইরাসের এই নাজুক পরিস্থিতিতে সিলেটে লকডাউন মানা জরুরি হয়ে পড়ছে। এ কারণে সিলেটের রাজপথে আরো কড়াকড়ি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে পুলিশ। গতকাল লকডাউন পালনে রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেডও বসায়। সিলেটের ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে এই ব্যারিকেড বসানো হয়। এর মধ্যে ৮টি ব্যারিকেড ছিল নগরে এবং বাকি ৬টি ছিল নগরের বাইরে। লকডাউনের প্রথমদিন থেকে সিলেট নগরের ৬ প্রবেশমুখে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যারিকেড বসানো হয়। এই ব্যারিকেড থাকার কারণে মূলত গ্রাম কিংবা অন্যান্য গ্রামীণ শহর থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন রয়েছে সিলেট নগরী। এতে করে সিলেট নগরের সঙ্গে হালকা যানবাহনেরও সংযোগ স্থাপিত হচ্ছে না। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এডিসি জ্যোতির্ময় সরকার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘পুলিশ সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে কাজ করছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বুধবার থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের শুরু থেকেই দেখা গেছে অনেকেই বিভিন্ন অজুহাতে বাসাবাড়ি থেকে বের হচ্ছেন। তাই লকডাউন কার্যকর করতে সিলেটের সড়কের ১৪টি পয়েন্টে বাঁশের বেড়া দেয়া হয়েছে। এতে কেউ চাইলেই হুট করে গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না।’ যে ১৪ পয়েন্টে বাঁশের বেড়া দিয়ে কার্যকর লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সেই সড়কগুলো হচ্ছে- আম্বরখানা, বন্দরবাজার, টিলাগড়, মদিনা মার্কেট, হুমায়ুন রশিদ চত্বর, অতিরবাড়ি, শ্রীরামপুর বাইপাস, পারাইর চক, বটেশ্বর, এয়ারপোর্ট রোড, রিকাবীবাজার, লামাবাজার, জিন্দাবাজার ও কাজীর বাজার সেতুর দক্ষিণ পার্শ্ব। এ ছাড়া নগরের আম্বরখানা, মদীনা মার্কেট, রিকাবীবাজার ও লামাবাজার এলাকায়ও সড়কের একদিকে বাঁশ দিয়ে আটকানো সড়ক। এসব স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে