লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক থাকায় চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এ বিষয়ে আগামী সোমবার সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই লকডাউনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, করোনার সংক্রমণ এখনো বেশি। তাই লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ১৯ এপ্রিলের সভায়।
নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো পহেলা বৈশাখসহ সব ধরনের সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে চলাচলে বিধিনিষেধের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। সকালে ঢাকার ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, মোহাম্মদপুর ও শ্যামলী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার সড়কে শুধু পণ্যবাহী কিছু যানবাহন চলছে। নেই কোনো গণপরিবহণ। রাস্তায় মানুষজনও একেবারে সীমিত।
‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ প্রথম দিনে ঢাকায় কড়াকড়ি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত আট দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ বুধবার সকাল থেকে পাল্টে গেছে রাজধানী ঢাকার চিত্র। রাস্তায় কোনো যানবাহন নেই, দোকানপাট বন্ধ, ফুটপাতগুলো ফাঁকা। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যম, ওয়াসার গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক, সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারী যানবাহনসহ বিশেষ সেবায় নিয়োজিত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সড়কে এবং অলিগলিতে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু রিকশা ও ঠেলাগাড়ি দেখা গেছে- বেশিরভাগই বাজারের মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত।
গণমাধ্যম ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ আওতামুক্ত
কাল বুধবার থেকে শুরু হওয়া ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ গণমাধ্যমসহ (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া) অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবাসংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মী এবং যানবাহন নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। অর্থাৎ গণমাধ্যমের কর্মীদের কাজ ও চলাচল অব্যাহত থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা সর্বাত্মক লকডাউনের ১৩ দফা বিধিনিষেধে গণমাধ্যমের বিষয়ে এই কথা বলা হয়েছে। জানতে চাইলে সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, সংবাদপত্র এজেন্ট, হকার ও সংবাদপত্র পরিবহনও এই সর্বাত্মক লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।