কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

'একটি আইসিইউ বেড পেতে অন্তত ৫০টা হাসপাতালে খোঁজা হয়েছে'

বিবিসি বাংলা (ইংল্যান্ড) স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৪৫

করোনাভাইরাস মহামারির ২য় ঢেউয়ে বাংলাদেশে অনেকের জন্যই হাসপাতালে ভর্তি এবং সুচিকিৎসা পেতে এক প্রকার হাহাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন রোগীর স্বজনরা।


সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় আক্রান্তদের সেবাদানের ক্ষেত্রে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও।


সাধারণত রোগী সুস্থ্য হলে অথবা মৃত্যু বরণ করলেই যেহেতু কোনো একটি আইসিইউ বেড খালি হয় তাই রোগী বাড়তে থাকায় আইসিইইউ সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে ।


অবশ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ই এপ্রিলের বুলেটিনের তথ্যে বলা হয়েছে সারাদেশে সর্বমোট ৮২৫টি আইসিইউ সজ্জার মধ্যে ৬৫২টিতে রোগী ভর্তি আছে এবং খালি আছে ১৭৩টি আইসিইউ বেড।


আইসিইউ ফাঁকা পাওয়া এখন ‘ভাগ্যের’ বিষয়


করোনায় আক্রান্ত এক আত্মীয়ের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) একটি শয্যা খুঁজছিলেন রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসিন্দা মো. রিয়াদ। দুপুর পর্যন্ত ১১টি বেসরকারি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে কোথাও আইসিইউ ফাঁকা পাননি। বিকেলের দিকে খোঁজ পান মগবাজারের একটি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা ফাঁকা হয়েছে। খবরটি শোনা মাত্রই দেরি না করে গ্রিন রোডের বাসা থেকে ওই আত্মীয়কে নিয়ে সেখানে ছুটে যান তিনি।


বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াদ গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইসিইউ ফাঁকা নাই, সব হাসপাতাল একই কথা বলছিল। পরে আরেক আত্মীয়ের মাধ্যমে মগবাজারের রাশমনো স্পেশালাইজড হাসপাতালে একটা আইসিইউ জোগাড় করতে পারি।’


আইসিইউ সংকট চরমে


প্রায় পাঁচ বছর ধরে হৃদরোগে ভুগছেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বাসিন্দা চন্দ্রনাথ প্রামাণিক। গত মাসেও কিছু শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত সপ্তাহে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তার করোনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়। রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। এর মধ্যে দেখা দেয় তীব্র শ্বাসকষ্ট।


তার ছেলে সজল প্রামাণিক বলেন, ‘বাবার আগে থেকে হৃদরোগ ছিল। করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসার আগেই তার ভীষণ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। চিকিৎসক জানান তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে এবং আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে।


রাজশাহীর ছয় জেলায় নেই আইসিইউ


রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলার হাসপাতালেই নেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। যে দুই জেলায় আইসিইউ আছে তাও অপ্রতুল। ফলে করোনাকালে মুমূর্ষু রোগীদের আইসিইউ সেবা দেওয়া যাচ্ছে না।


এ কারণে দীর্ঘ হচ্ছে মৃতের তালিকা। রাজশাহী বিভাগে আইসিইউ সংকটের কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চাহিদাপত্র দিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর। এতে ১২১টি আইসিইউ চাওয়া হয়েছে। তবে এগুলো কবে পাওয়া যাবে কিংবা আসলেই পাওয়া যাবে কি না তা নিশ্চিত নয়। বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে।


সঙ্কটাপন্ন করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ পর্যায়ের ৭৮০ বেড চালু


করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসায় রাজধানীসহ সারাদেশে ৭৮০টি আইসিইউ পর্যায়ের বেড চালু করেছে সরকার। সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৫৫টি ও বেসরকারি পর্য়ায়ে ৪২৫টি এ ধরনের বেড চালু করা হয়েছে। সাধারণ বেডের সঙ্গে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলাযুক্ত ও অন্যান্য চিকিৎসাসুবিধা নিশ্চিত করে আইসিইউ পর্যায়ের বেড তৈরি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এ উদ্যোগের ফলে মুমূর্ষু রোগী যাদের আইসিইউ বেডের অভাবে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছিল, তাদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমেছে।


 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও