কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনা দল চেনে না সবাই শিকার হতে পারেন

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা দল চেনে না। সবাই এ ভাইরাসের শিকার হতে পারেন। সুতরাং করোনা নিয়ে রাজনীতি না করে সরকারকে প্রয়োজনে গঠনমূলক পরামর্শ দিন। গতকাল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার বাসভবন থেকে সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। বিএনপিকে সরকার রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে তাদের কর্মীদের দমন করছে- দলটির এই অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের এসব কথা শুনলে জনগণ হাসে। তারা অপরাজনীতি ও মিথ্যাচারকে রাজনীতি মনে করছে। জনগণের কল্যাণ থেকে দূরে থেকে বিএনপি এখন সন্ত্রাস ও গুজবনির্ভর রাজনীতির চর্চা করছে। শেখ হাসিনার সরকার রাজনৈতিক নিপীড়নে বিশ্বাসী নয়। শেখ হাসিনার সরকার সব দল ও মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের হেফাজতের মামলায় জড়িয়ে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করছে- দলটির নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের এ অভিযোগ গতানুগতিক এবং সত্য নয়। হেফাজতে ইসলাম দেশব্যাপী যে তাণ্ডব চালিয়েছে এবং জনগণ তথা রাষ্ট্রীয় সম্পদে আগুন দিয়েছে তা নিয়ে বিএনপি একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে। অপরাধী কোনো দলের হতে পারে না। ধর্ম কখনো সহিংসতা উস্কে দেয় না। যারা ধর্মের নামে স্বার্থ হাসিলের নোংরা রাজনীতি করছে এবং সম্পদ নষ্ট করছে, তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ধরা হচ্ছে। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে- এমন অভিযোগ সত্যের অপলাপ। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, মামলায় আসামি এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া নেতাকর্মীদের কোথায় হয়রানি করা হচ্ছে তার তালিকা দিন। ঢালাও অভিযোগ না করে স্পষ্ট প্রমাণ দিন। বিএনপিকে সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের পথ থেকে সরে জনকল্যাণমুখী ও ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই দেশের মানুষের সুরক্ষা তথা সংক্রমণ রোধে শেখ হাসিনার সরকার যে সর্বাত্মক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আমাদের জীবনের সুরক্ষার স্বার্থেই। এই মহামারি থেকে উত্তরণে সবাইকে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং স্রষ্টার অপার কৃপায় নিশ্চয়ই আমরা সবাই এ সংকট কাটিয়ে উঠবো। অবকাঠামো নির্মাণকাজ লকডাউনের নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং শতভাগ মাস্ক পরিধান করে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ১৪ তারিখ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে সড়কে গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাস্তা ফাঁকা থাকবে, তাই এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করতে হবে। সামনে বর্ষাকাল, তাই বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই নির্মাণাধীন কাজ এগিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বর্ষার আগে কাজ করার এখনই উপযুক্ত সময়। যেসব প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে তার পেপার ওয়ার্ক এখনই শেষ করতে হবে। যেন শুকনো মৌসুম এলেই নির্মাণকাজ শুরু করা যায়। বিগত কয়েক বছরে সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে এবং হচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব কাজ আরো এগিয়ে নিতে হবে। ঢাকা-কক্সবাজার সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটির বিষয়ে তিনি বলেন, এই প্রকল্প সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি। তাই এই প্রকল্পের কাজ দীর্ঘদিন ঝুলে থাকলেও সমপ্রতি গতি পেয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকালে বা কাজ শুরু হওয়ার আগে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত