কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনাভাইরাস: ৮৩ জনের মৃত্যুর নতুন রেকর্ড, আক্রান্তও ৭ হাজারের বেশি

বিডি নিউজ ২৪ স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৩৭

নতুন করোনাভাইরাসে দেশে এক দিনে ৮৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে, যা এ যাবৎ সর্বাধিক। এক দিনে শনাক্ত হয়েছে আরও ৭ হাজার ২০১ রোগী।


এর আগে গত ৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ সাত হাজার ৬২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৯১ হাজার ৯৫৭ জন।


আজ সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


এতে বলা হয়, রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ৩৪ হাজার ৯৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনায় আক্রান্ত আরও সাত হাজার ২০১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৫৯ শতাংশ।


আজ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮৩ জনের মধ্যে ৫৪ জন পুরুষ ও ২৯ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে চার জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ১৬ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ও ষাটোর্ধ্ব ৫২ জন।


১৪ এপ্রিল থেকে যা করা যাবে, যা করা যাবে না


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ কাজ ও চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর আজ সোমবার এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়।


এতে সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং গণপরিবহন বন্ধ রাখাসহ ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে শিল্প কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।


১৩ দফার বিধি-নিষেধ হলো :
১. সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।
২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে
৩. সব প্রকার পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না
৪. শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
৫. আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরি সেবা, যেমন: কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।


১৪ এপ্রিল থেকে সব অফিস-গণপরিবহন বন্ধ, শিল্প-কারখানা খোলা


আগামী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আট দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।


সোমবার (১২ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।


করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি অবনতির কারণে আগের নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় আগামী ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত ১৩টি বিধি-নিষেধ আরোপ করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও