মার্চে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৫০ শতাংশ
দেশে মার্চ মাসে আসা রেমিটেন্স গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৯২ কোটি ডলার। যা ২০২০ সালের মার্চ মাসে ছিল ১২৮ কোটি ডলার।
এই নিয়ে চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে রেমিটেন্স এসেছে ১৮৬০ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি।
আজ বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রিস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রেমিট্যান্স বাড়ছে, বাড়তেই থাকবে : অর্থমন্ত্রী
সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সংস্কারমুখী পদক্ষেপের কারণে রেমিট্যান্স বাড়ছে এবং বাড়তেই থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্সের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রবাসী আয়ের এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম প্রবাসী আয় পাঠানোর নিয়ামকানুন সহজ করে দেয়া, সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা। এছাড়া আরও বিভিন্ন সংস্কারমুখী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রভাবে রেমিট্যান্স বাড়ছে।’
মার্চে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯১ কোটি ডলার
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছে প্রবাসীরা। সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে আবারও বিপুল পরিমাণ টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই মাসে তারা ১৯১ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা টাকার হিসাবে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত রেমিট্যান্সের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার । রেমিট্যান্সের প্রবাহ চাঙা থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৪৩.০৯ বিলিয়ন বা চার হাজার ৩০৯ কোটি ডলারে বেশি।