কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তরুণরা দেখতে চায় ঐকমত্য

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২১, ০০:০০

বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যুব ও যুব রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উন্নত, ইতিবাচক যুব বিকাশের বিষয়, প্রত্যাশা এবং সম্পৃক্ততার বিষয়ে মতামত বিনিময় হয়। দেশের ৬৪ জেলা থেকে আগত যুবকরা রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে অংশ নেন। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘ডায়ালগ উইথ ইয়ুথ অ্যান্ড ইয়াং পলিটিক্যাল লিডারস অন ফিফটি ইয়ারস্‌ অফ বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক সংলাপের আয়োজন করে জাগো ফাউন্ডেশন। এতে অংশ নিয়ে শরীয়তপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন, আমাদের সমাজের বিভিন্ন ইস্যু সম্পর্কে কথা বলতে হবে, যুবকদের কণ্ঠস্বর নিশ্চিত করতে হবে।  আমাদের স্বতন্ত্রতা প্রয়োজন। প্রয়োজন একতাবদ্ধতা। তরুণরা দেখতে চায় ঐকমত্য। সাবেক সংসদ সদস্য ও যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আখতার বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উন্নত বিশ্বে পৌঁছানোর জন্য শিল্প বিপ্লবের ওপর জোর দিয়েছে। বাংলাদেশের এই ৫০ বছর পূর্তির উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে তিনি আরো বলেন, তরুণদের চাকরির সুরক্ষার জন্য তাদের নিজেদের উদ্যোক্তা হওয়া উচিত এবং আমাদের সবার উচিত মানুষের জন্য রাজনীতি করা। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, এই সমাজে একজন শ্রমজীবী মহিলার দুটি কাজ করতে হয়। একটি হচ্ছে চাকরি এবং অপরটি হচ্ছে পরিবারের যত্ন নেয়া। বেশিরভাগ মহিলা এরকম বাধার মুখোমুখি হন। আমরা সরকারি খাতে চাকরির ওপর খুব নির্ভরশীল এবং আমাদের অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। যতক্ষণ আমরা সব শিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধি না করব, ততক্ষণ আমরা অর্থনীতিতে চাকরির সংখ্যা বাড়াতে পারি না। তিনি সবাইকে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি কর্মসংস্থান সৃষ্টির উপায় হিসেবে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেন, আমাদের দিন শেষ হচ্ছে। এখন সময় এসেছে তারুণ্যের। তরুণরা ভবিষ্যতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তার জন্য তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল বলেন, জাতীয় পার্টি তরুণদের মাঝে আরো বেশি উদ্যোক্তা তৈরির ওপর জোর দিয়েছে। যারা দেশের বর্তমান সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারবে। বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগের দক্ষতা অভাব রয়েছে। জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক করভী রাকসান্দ বলেন, এই প্রোগ্রামে যুবকরা তাদের নেটওয়ার্কের মধ্যে গণতন্ত্র এবং শাসন সম্পর্কিত সমস্যা, বার্তা ও চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছে। আমি বিশ্বাস করি রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুবকদের সম্পৃক্ততা কেবল দক্ষতা এবং নেতৃত্বের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে। রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা তাদের অবদানকেও মূল্য দেবে, যা দেশের উন্নতির জন্য কার্যকর হবে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের লিঙ্গ, বিচার ও বৈচিত্র্য (জিজেডি) এবং নারী নির্যাতন প্রতিরোধ উদ্যোগের পরিচালক নবনীতা চৌধুরী।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত