কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শেষ হলো সাক্ষ্যগ্রহণ

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০২১, ০০:০০

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরা শেষ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হলো। আগামী ১৪ই মার্চ এ মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন। গ্রেপ্তারকৃত ২২ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা শেষ করেন। এর আগে গত ১লা ফেব্রুয়ারি এই তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষ হয়। তার আগে গত ১৯শে জানুয়ারি মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক কবির হোসেন হাওলাদার আদালতে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া, প্রশান্ত কুমার কর্মকার, আলমগীর হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও মশিউর রহমান। আসামিপক্ষে ছিলেন মাহাবুব আহমেদ, আমিনুল গণী, গাজী জিল্লুর রহমান, আজিজুর রহমান, ফারুক আহমেদ প্রমুখ। আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফারুক আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, এই মামলায় ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। গতকাল মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে জেরা করা হয়।নথি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ই অক্টোবর রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ই অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে পুলিশ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তাদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।এ ঘটনায় করা মামলায় ২০১৯ সালের ১৩ই নভেম্বর বুয়েটের ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৩ আসামিকে পলাতক দেখানো হয়। গত বছরের ২১শে জানুয়ারি অভিযোগপত্রটি আমলে নেন আদালত। এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরো ৬ জনের জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারের বাইরে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৫ জনসহ মোট ২২ আসামিকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক রয়েছেন ৩ জন। অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয় এবং ২১টি আলামত ও ৮টি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, পরস্পর যোগসাজশে শিবির সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নির্মমভাবে পিটিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এজাহারে থাকা আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম। এজাহার বহির্ভূত ৬ আসামি হলেন- ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এসএম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ। পলাতক রয়েছেন-মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম দু’জন এজাহারভুক্ত আসামি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে