কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঘাটাইলে বাছেত করিমের সনদ ও গেজেট বহালের দাবি ৬২ বীর মুক্তিযোদ্ধার

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০২১, ০০:০০

ঘাটাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছেত করিমের সনদ ও গেজেট পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। এ ব্যাপারে গত ২৮শে জানুয়ারি উপজেলার ৬২ মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী ও চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, আব্দুল বাছেত করিম ১৯৭১ সালে ঘাটাইল গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ ঘাটাইল ঈদগাহ মাঠে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন খান ও তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা কাজী আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে সামরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র গঠিত হলে তিনি কিশোর ও তরুণ বয়সে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নেন। যুদ্ধকালীন সময়ে এলেঙ্গা-ভুয়াপুর রাস্তার নগরবাড়ি সেতুর নিকট তিনি ১২ই আগস্ট রাতে খোরশেদ আলম তালুকদারের (বীরপ্রতীক) নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন। স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠিত হলে তিনি ঘাটাইল থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার পদে দীর্ঘকাল দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তার লাল মুক্তিবার্তা নং- ০১১৮০৪০৪৪২, যুদ্ধাহত গেজেট নং-৬০৬, জাতীয় তালিকা নং-২৭৮, বাংলাদেশ গেজেট নং-৪৯৯৫। তিনি এ যাবৎকাল সকল প্রকার যাচাই-বাছাইয়ে প্রকৃত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি ও সনদ লাভ করেছেন। টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার মো. ফজলুল হক (বীরপ্রতীক) বলেন, সাবেক উপজেলা কমান্ডার মো. হাবিবুর রহমান খান, এস এম আবুল কালাম আজাদ, মতিয়ার রহমান খান, সাবেক চেয়ারম্যান হায়দর আলী, আলহাজ্ব মো. হায়দর আলীসহ অনেকেই বলেন, তার মতো একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বাতিল করা সত্যিই অত্যন্ত দুঃখজনক। তার সহযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার মো. খোরশেদ আলম তালুকদার (বীরপ্রতীক) বলেন, মো. আব্দুল বাছেত করিম আমার কোম্পানির একজন কিশোর সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। নগরবাড়িতে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে তিনি গুরুতর আহত হন। কাদেরিয়া বাহিনীর প্রশিক্ষণ কমান্ডার রবিউল আলম গেরিলা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মো. আব্দুল বাছেত করিমের গেজেট ও সনদ বাতিলের বিষয়টি গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। মো. আব্দুল বাছেত করিম বলেন, ১৯৭১ সালে ৯ই মার্চ পাকিস্তানি পতাকা পুড়িয়ে দেয়ায় আমাকে কয়েকদিন আত্মগোপনে থাকতে হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করায় হানাদার বাহিনী আমার বাড়িঘরসহ অর্ধেক গ্রাম পুড়িয়ে দেয়। তিনি একজন প্রকৃত যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা থাকায় ৬২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল বাছেত করিমের গেজেট ও সনদপত্র বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার করে তা পুনর্বহালের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী ও চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সম্মানিত সদস্যদের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত