শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা কোথায়! | শেয়ার বিজ
আমার বড় ভাই মাঝেমধ্যে একটা গল্প বলতেন, কোনো এক গৃহস্থ অন্য এক ব্যক্তিকে বলছেন, তুমি যদি এই বিষয়টা আমাকে বুঝিয়ে দিতে পার তবে আমি তোমাকে হালের ডানপাশের বলদ গরুটা দিয়ে দেব। এ কথা শুনে গৃহস্থের স্ত্রী রেগে আগুন এবং গৃহস্থকে বকাবকি শুরু করেন। তারপর তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি যে বলদ গরুটা দিতে চাইলে, সে যদি তোমাকে সত্যি বুঝিয়ে দেয়, তখন কী করবে? তখন গৃহস্থ বললেন, আরে বউ আমি বুঝলে তো সে আমাকে বোঝাবে। আমি তো কোনোমতেই বুঝব না। তাহলে কীভাবে নেবে বলদ গরু? দেশে এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে, কিন্তু শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন গৃহস্থের মতো নাছোড়বান্দা, বুঝেও বুঝবে না।
আগের মতো হাটবাজার, অফিস-আদালত, পরিবহন, শপিং মল ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো চলছে দীর্ঘদিন আগে থেকেই। এছাড়া চলছে নিয়মিত সভা-সমাবেশ, নানা দিবস উদ্যাপন এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। এখন শুধু বন্ধ রয়েছে শিক্ষাঙ্গন। শিক্ষাঙ্গন খুলে দিতে সমস্যা কোথায়? যেহেতু সবকিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে, কাজেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখাটা একেবারে অযৌক্তিক। সেজন্য অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলছেন, করোনা শুধু শিক্ষাঙ্গনে। তাদের কথায় যুক্তি আছে। যে কারণ দেখিয়ে শিক্ষাঙ্গন বন্ধ রাখা হয়েছে, সেটা অযৌক্তিক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে কোথাও কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। রবীন্দ্রনাথ যেমনটা বলেছেন, সারা অঙ্গকে বঞ্চিত করিয়া কেবল মুখমণ্ডলে রক্ত জমা হইলেই তাকে স্বাস্থ্য বলা যায় না। তেমনি সব কিছু খোলা রেখে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে, এটা বলা কতটা যুক্তিসংগত!