দুর্নীতি দমনে প্রয়োজন সরকার ও জনগণের সমন্বিত পদক্ষেপ
দিনাজপুর তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী খলিলুর রহমান ২০১২ সালে অবসরে যান এবং ২০১৬ সালে মারা যান। খলিলুর রহমান অবসরে থাকা অবস্থায় তার আনুতোষিকের অর্থ সংশ্লিষ্ট হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাহিদা মোতাবেক অর্থ না দেয়ায় তিনি এক লাখ ২০ হাজার টাকা কম পান। পরবর্তী সময়ে খলিলুর রহমানের মৃত্যুর পরে তার ছেলে ফরহাদ হোসেন হিসাব রক্ষণ অফিসের অডিটর আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে এক বছর ধরে দেন-দরবার করে তার বাবার আনুতোষিকের টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
আনোয়ার হোসেন এ বিষয়ে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ক্যাশিয়ার ফেরদৌস হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। ফেরদৌস হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ টাকার জন্য ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ না দিলে আনুতোষিকের বকেয়া টাকা পাওয়া যাবে না বলে ফরহাদ হোসেনকে জানিয়ে দেন। ফরহাদ হোসেন নিরুপায় হয়ে হিসাব রক্ষণ অফিসের অডিটর আনোয়ার এবং তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ক্যাশিয়ার ফেরদৌসকে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা দেন। বাকি ৩০ হাজার টাকা পরে দেবেন বলে জানান। কিন্তু অডিটর আনোয়ার ও ক্যাশিয়ার ফেরদৌসের অসহযোগিতার কারণে ফরহাদ হোসেন সমগ্র বিষয়টি লিখিতভাবে স্থানীয় দুদককে জানান এবং প্রতিকার চান। তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুদকের একটি বিশেষ টিম হিসাব রক্ষণ অফিসে ফাঁদ পাতে। হিসাব রক্ষণ অফিসে বসে অডিটর আনোয়ার ও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ক্যাশিয়ার ফেরদৌস ঘুষের ৩০ হাজার টাকা ফরহাদ হোসেনের কাছ থেকে নেয়ার সময় দুদক টিম তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ সংবাদটি গণমাধ্যমে ২০১৯ সালের ৮ অক্টোবর ছাপা হয়েছে।