কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যুগ্ম সচিবের মর্যাদা চান ডিএসসিসি’র কাউন্সিলররা বেতন দ্বিগুণের প্রস্তাব

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)। একই সঙ্গে তাদের পদমর্যাদা ‘যুগ্ম সচিব’ সমমান করতে চায় এ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান। গত ২৭শে জানুয়ারি ডিএসসিসি’র মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ সংক্রান্ত কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। বর্তমানে প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। ডিএসসিস’র বোর্ড সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত থেকে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের পদমর্যাদা যুগ্ম সচিব সমপর্যায়ে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমান কাউন্সিলররা দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বেশ কয়েকটি বোর্ড সভায় তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন। পরে  মেয়র তা সমর্থনও করেন। সভায় কাউন্সিলরদের পদমর্যাদা যুগ্ম সচিব দেয়ার পাশপাশি মাসিক সম্মানী ভাতা ৩৫ হাজারের পরিবর্তে ৬০ হাজার টাকা, কার্যালয় ভাড়া ৮ হাজারের পরিবর্তে ২৫ হাজার টাকা, অফিস ব্যবস্থাপনার খরচ ৪ হাজারের পরিবর্তে ১২ হাজার টাকা, প্রতিবার সভায় উপস্থিতি বাবত  ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়। এতে কাউন্সিলররা সভায় অংশ নিলে মাসিক সবোর্চ্চ ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত সম্মানী ভাতা রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে কাউন্সিলদের সম্মানী বাবদ ১ লাখ ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রস্তাব করা হয়েছে। সিটি করপোরেশেন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা মাসিক ৪৭ হাজার টাকা ভাতা করে পান। সভায় অংশ নিয়ে মাসিক সর্বোচ্চ আরো ২০০০ টাকা পান। সব মিলিয়ে একজন কাউন্সিলর মাসিক ৪৯ হাজার টাকা পান। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। সংরক্ষিত ২৫ জন নারী কাউন্সিলসহ মোট ১০০ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। বর্তমান সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী কাউন্সিলরদের পেছনে প্রতিমাসে (সম্মানী বাবদ ও সভার ভাতা) সিটি করপোরেশনের খরচ ৪৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরে খরচ হচ্ছে ৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। নতুন সম্মানী কার্যকর হলে একজন কাউন্সির ৫৪ হাজার টাকা বাড়তি পাবেন। ফলে ১০০ জন কাউন্সিলের পিছনে (সম্মানী বাবদ ও সভার ভাতা) সিটি করপোরেশনের মাসিক খবচ হবে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বার্ষিক খরচ হবে ১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরে মোট ব্যয় বাড়বে ৬ কোটি ৪৮ লাখ।   জানা যায়, ২০১৬ সাল পর্যন্ত কাউন্সিলররা সম্মানী ভাতা পেতেন মাসিক ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। অফিস খরচ ও কার্যালয়ের ভাড়া মিলিয়ে মোট সম্মানী পেতেন ৩০ হাজার টাকা। তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন কাউন্সিলরদের পদমর্যাদা উপসচিব সমমান ও সম্মানী ভাড়া ৩ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেন। পরে তা স্থানীয় সরকার বিভাগ বারাবর প্রেরণ করা হয়। সেখানে এ বিষয়ে যাচাই বাচাইয়ের পর পদমর্যাদার বিষয়টি কার্যকর করা হয়নি। সে সময় কাউন্সিলরদের মাসিক সম্মানী দ্বিগুণ করা হয়। তখন থেকে সকল সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরগণ একই সুবিধা ভোগ করেন। নতুন করে সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একাধিক কাউন্সিলর বলেন, বেশ কয়েকটি বোর্ড মিটিংয়ে তারা তাদের সুযোগ-সুবিধা ও পদমর্যাদা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। সম্প্রতি এক বোর্ড সভায় এই বিষয়টিতে মেয়র সম্মতি দিয়েছেন। আমরা জেনেছি সিটি করপোরেশন থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এই বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এদিকে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এর ৬০ নং আইনে বলা হয়েছে, মেয়র ও কাউন্সিলরগণ সরকারের অনুমোদনক্রমে করপোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত হারে সিটি করপোরেশনের তহবিল হইতে মাসিক সম্মানীভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হইবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরগণ দীর্ঘদিন সে অনুযায়ী সরকারের বেধে দেয়া করপোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত হারে সিটি করপোরেশনের তহবিল হইতে মাসিক সম্মানীভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পেয়ে আসলেও নতুন করে আরো বেশি সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবি করে আসছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী মানবজমিনকে বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারির মাসের শেষ সপ্তাহে কাউন্সিলরদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। মেয়র এ বিষয়টি সর্বসম্মতি ক্রমে অনুমোদন করেছেন। অনুমোদনের পর প্রস্তাবটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় বিষয়টি যাচাই বাচাই করে দেখবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাবটি এখনো আমরা পাইনি। প্রস্তাবটি না দেখে মন্তব্য করতে পারছি না। স্থানীয় শাসন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশন কাউন্সিলদের সুযোগ সুবিধার বাড়ানোর প্রস্তাবটি তারা দিতেই পারে। এখানে অযৌক্তিক কিছু নেই। সকল সিটি করপোরেশন থেকে তো এই প্রস্তাব দেয়া হয়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত