কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দুইদিনের সন্তান নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে মা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

মাত্র দু’দিন আগে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। সেই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে এক মা নিজেই উপস্থিত পরীক্ষাকেন্দ্রে। তবে শ্রেণিকক্ষে নয়, এম্বুলেন্সে বসে পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। ওই এম্বুলেন্সে সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তান এবং তার নানী উপস্থিত ছিলেন। নানীর কোলে নাতনি, মায়ের হাতে কলম-এমন এক অদম্য নারীর ইচ্ছাশক্তির গল্প এখন বিয়ানীবাজারবাসীর মুখে মুখে। জানা গেছে, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্রী ওই মা। উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামে তার বাবার বাড়ি। বিয়ে হয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়। স্বামী প্রবাসে থেকেই স্ত্রীর শিক্ষা গ্রহণের কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবার স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি সন্তান প্রসব করেন। গত রোববার তার ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরীক্ষা ছিল। তাই গর্ভে সন্তান নিয়েই চূড়ান্ত বর্ষের একটি বিষয়ের পরীক্ষা দেন তিনি। এবিষয়ে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রীর পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে পরীক্ষার আগের রাতে যোগাযোগ করা হয়। সে মোতাবেক আমরা সব প্রস্তুতি গ্রহণ করি। সদ্য সন্তান জন্ম দেয়া মা’র দু’তলায় পরীক্ষার হলে যাওয়া কঠিন, তাই আমরা এম্বুলেন্সে রেখেই তার পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেই। তিনি বলেন, যথাসময়ে ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হলে আমরা এম্বুলেন্সে একজন শিক্ষক (মহিলা পরিদর্শক) নিয়োগ করি। প্রশ্নপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে ওই ছাত্রী পুরো চার ঘণ্টা সময় ব্যয় করে পরীক্ষা দেন। আমরা তাকে সাধুবাদ জানাই। মা হওয়া ওই ছাত্রী পিংকী রাণী পাল (২২) জানান, আমি হাসপাতাল থেকে এম্বুলেন্স যোগে সরাসরি পরীক্ষাকেন্দ্রে যাই। পরীক্ষা শেষে আবার হাসপাতালে ফিরে আসি। এই সময়ের মধ্যে আমার সন্তান একাধিকবার কেঁদে উঠলেও আমি তাকে নিয়ন্ত্রণ করি। এতে আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। আমি চাই, পড়ালেখা শেষ করে সরকারি চাকরি করতে। তাই কোনো বাধাই মেনে নেইনি। তিনি বলেন, সবকিছুতে আমার স্বামীর সম্মতি ছিল। আসলে পরিবারের সমর্থন না থাকলে কিছুই করা যায় না। এদিকে সোমবার রাত থেকে ওই মায়ের পরীক্ষা দেয়ার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে নারীদের শৃঙ্খল ভাঙার মানসিকতাকে বাহবা দিচ্ছেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে