কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

৮২ বছরেও বয়স্কভাতা মেলেনি আছিয়া বেগমের

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

বয়সের ভারে ন্যুব্জ আছিয়া বেগম (৮২)। বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রোগে ভুগছেন তিনি। চিকিৎসাসেবা দূরের কথা, প্রতিদিন তিন বেলা খাবার জোটে না তার। জীবনের শেষ সময়ে একটু সচ্ছলতার আশায় বয়স্কভাতার কার্ডের জন্য ধরনা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। প্রতিশ্রুতি দিলে এখনো তার ভাগ্য জোটেনি ভাতার কার্ড। আছিয়া বেগমের বসতি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিণ রণগোপালদী গ্রামে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৩৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ৬২ বছর বয়সে তার বয়স্কভাতা পাওয়ার কথা। এলাকাবাসী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আছিয়া বেগমের স্বামী মোহাম্মদ হাওলাদার মারা গেছেন ২৫ বছর আগে। সহায়-সম্পদ বলতে কিছু নেই তার। একমাত্র ছেলে বিবাহ করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্যত্র বসবাস করেন। মেয়ে পারভীন বেগমের বাসায় জামাইয়ের স্বল্প আয়ে চলছে আছিয়ার বেঁচে থাকার যুদ্ধ। আছিয়া বেগমের মেয়ে পারভীন বেগম জানান, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমার ভাই মায়ের কোনো খোঁজ নেননি। তিনি জানান, আমার স্বামী দিনমজুর তার স্বল্প আয়ে ছেলে সন্তান আর অসুস্থ মাকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। চিকিৎসার অভাবে রোগ, শোক, অনাহারে জীবন পার করছেন আমার মা। অনেক চেষ্টা করেছি মায়ের বয়স্কভাতার জন্য, টাকা দিতে পারিনি তাই কার্ডও হয়নি। রণগোপালদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সিকদার নাসির উদ্দিন জানান, ওই বৃদ্ধ মহিলা আমার কাছে ভাতার জন্য আসেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌস জানান, আছিয়া বেগম ভাতার জন্য আবেদন করলে চলতি অর্থবছরে ভাতার তালিকা প্রণয়নে তার নাম গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে। তাকে সামাজিক সুবিধা দেয়া হবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বয়স্কভাতা কমিটির সভাপতি আবদুল আজীজ জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। পরবর্তীতে নতুন নাম এলে তাকে বয়স্কভাতা দেয়া হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে