কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রেজাউলের ইশতেহারে ৩৭, শাহাদাতের ৭৫

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে নিজেদের ইশতেহার পেশ করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপি’র মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। ইশতেহারে এম রেজাউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন, যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ ৩৭ প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছেন। আর ডা. শাহাদাত হোসেন পেশ করেছেন ৭৫ দফা প্রতিশ্রুতি।  নির্বাচনে ভোট গ্রহণের তিনদিন আগে শনিবার (২৩শে জানুয়ারি) সকালে এক ঘণ্টার ব্যবধানে এবং পাশাপাশি অবস্থানে তারা এই ইশতেহার পেশ করেন। সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী লিখিত ইশতেহার পাঠে বলেন, চট্টগ্রামের সবচেয়ে পুুরনো ও ভয়াবহ সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা তথা জলজট। এ কারণে নগরবাসী এখন আকাশে মেঘ দেখলে ভয় পান। ফলে এই সমস্যা সমাধানে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ইশতেহারে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশনকে ১০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প দিয়েছে। এসব প্রকল্পের কাজ এখন চলমান আছে। আমি নির্বাচিত হলে ১০০ দিনের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলমান মহাপরিকল্পনা-উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হবে। রেজাউল করিম বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন প্রকল্পের সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি হচ্ছে গৃহকর। যা সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে। এ ছাড়া রাজস্ব সহ সব সেবাখাতকে ওয়ান স্টপ ডিজিটাল সার্ভারের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ব্লু-ইকোনমিকের উৎস। আমি নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামের পর্যটন খাত প্রসারে উদ্যোগ নেয়া হবে। এ ছাড়া খাল-নদী পুনরুদ্ধার, যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য বাসস্থান নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হবে। তাছাড়া করোনাকালে স্বাস্থ্যসেবার পৃথক ৭টি কাজ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।  তিনি বলেন, আমার কিছু পাওয়ার নেই। পারিবারিক ভাবে সব পার্থিব অর্জন আমার আছে। সুযোগ পেলে নিজের মেধা-মনন, কর্ম, সবকিছু নগরবাসীর জন্য উৎসর্গ করাই আমার আসল অঙ্গীকার। ইশতেহার পেশের সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অনুপম সেন ও সাংগঠনিক সমপাদক এস এম কামাল হাসান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সমপাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অপর পাশে মাত্র ৫০ গজ দূরে অবস্থিত নগরীর জামাল খান এলাকার দাওয়াত রেস্টুরেন্টে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন বিএনপি’র মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। ইশতেহারে তিনিও জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম, স্বাস্থ্যকর, শিক্ষাবান্ধব, গৃহকর ও আবাসন সুবিধা, পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ, সাম্য-সমপ্রীতির, নান্দনিক পর্যটন নগর এবং তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ চট্টগ্রামসহ ৭৫ দফা প্রতিশ্রুতি দেন। লিখিত বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নগর পিতা নয়, আমি নগর সেবক হতে চাই। ছাত্র জীবন থেকেই চেষ্টা করেছি চট্টগ্রামের গণমানুষের পাশে দাঁড়াতে। নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হতে। ব্রত হিসেবেও নগরবাসীর সেবায় ডাক্তারি পেশাকে বেছে নিয়েছি। করোনাকালে অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনী ইশতেহারে তাই স্বাস্থ্যখাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকায় ১০টি বিশেষায়িত হাসপাতাল থাকলেও চট্টগ্রামে একটিও নেই। বিআইটিআইডি নামে বিশেষায়িত যে হাসপাতাল বলা হচ্ছে তাও অসম্পূর্ণ। তাই আমি নির্বাাচিত হলে চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ চিকিৎসার একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করবো। এ ছাড়া নগরীর সবক’টি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবো।   তিনি বলেন, নির্বাচিত হয়ে আমি চট্টগ্রামকে একটি পরিচ্ছন্ন নগর এবং নগরবাসীর উন্নত জীবন গড়তে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবন ও সমপদের নিরাপত্তা, নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, অসামপ্রদায়িক পরিবেশ, নাগরিক বিনোদন, কর্মসংস্থান, পরিবেশ দূষণ ও ভেজালমুক্তকরণ, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজমুক্তকরণ, সর্বপ্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ, সর্বোপরি করপোরেশনের সমপদের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সুষম বণ্টন এবং নগরবাসীকে অন্যায্য কর আরোপ হতে ভারমুক্ত রাখাসহ প্রভৃতি উদ্যোগ নেবো। এ ছাড়া খাল ও নদী সংরক্ষণ সহ অবৈধ দখল উচ্ছেদ, স্বজনপ্রীতি মুক্তকরণ, আদর্শ পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলাসহ সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম গড়ে তোলার উদ্যোগ নেবো। এক্ষেত্রে নগরীর সকল সাবেক মেয়র, প্রকৌশলী ও পরামর্শক কমিটির সমন্বয় করা হবে বলে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ডা. শাহাদাত। ইশতেহার অনুষ্ঠানে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক এমপি (লক্ষ্মীপুর) শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, সাংগঠনিক সমপাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত