কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শায়েস্তাগঞ্জে ৫৫টি পরিবার স্বপ্নের ঠিকানা পাচ্ছে

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

রঙিন টিনে স্বপ্নের ঠিকানা পাচ্ছে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ৫৫টি পরিবার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে তাদের চোখে মুখে এক অন্য রকম উচ্ছ্বাস, যেনো সারা জীবনের অধরা স্বপ্নের হাতছানি ধরা দিয়েছে তাদেরকে। সহায় সম্বলহীন জহুরা বিবি কারো কারো বাড়িতে কর্ম করে কোনো রকম দিনাতিপাত করেন। বেলা শেষে এসে মাথা গোঁজার নিজের কোনো জায়গা ছিল না। রাস্তার পাশে কুড়ে ঘর বানিয়ে দিনাতিপাত করছিলেন। অবশেষে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার এ নারী ঘর পাচ্ছেন নিজের নামে। সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পে নাম এসেছে তারও। নগেন্দ্র সরকার স্ত্রী নেই, এক সন্তান নিয়ে তিনি দিনমজুরের কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালাতেন। নেই নিজের কোনো জায়গা-জমি, অন্যের জায়গায় ঘর বানিয়ে থাকতেন। তিনিও মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন।জাহেরা বেগম নামে এক নারী বলেন, মানুষের বাড়িতে থাকতাম। শেখ হাসিনার কল্যাণে নিজের একটি ঘর হচ্ছে তাও আবার পাকা। যা আমার কাছে স্বপ্ন ছাড়া কিছুই না। নানু মিয়া বলেন, সারা জীবন স্বপ্ন দেখতাম নিজের ঘর হবে। কিন্তু পূরণ করতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রীর বদৌলতে স্বপ্ন পূরণ হইতাছে। শেখের বেটির জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেনো তার হায়াত আরো বাড়িয়ে দেন। শুধু তারাই নন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় এ রকম ৫৫টি পরিবার পাচ্ছে তাদের স্থায়ী ঠিকানা। তাদের মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন, ঘর পেয়ে তারা খুব খুশি।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় মানুষের জন্য মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন। এতে অসহায় মানুষগুলো আনন্দে জীবনযাপন করতে পারবে এতেই পূরণ হচ্ছে তাদের বুনিয়াদি স্বপ্ন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ‘জমি নেই ঘর নেই গৃহহীন দরিদ্র শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের ৫৫টি অসহায় পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের ১লা নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২০শে জানুয়ারি শেষ হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ঘরগুলো গৃহহীন ও দরিদ্র পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। উপজেলা প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ২টি ইউনিয়নের মধ্যে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের লাদিয়া গ্রামে ১৭টি ও আলাপুর গ্রামে ২৩টি। ব্রাক্ষণডুরা ইউনিয়নে কেশবপুর গ্রামে ১৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার ৫৫টি সহায় সম্বলহীন পরিবার পাচ্ছে এ স্বপ্নের ঠিকানা। বারান্দাসহ সাড়ে ১৫ ফুট প্রস্থ ও সাড়ে ১৯ ফুট দৈর্ঘ্যে প্রতিটি ঘর, রান্নাঘর ও টয়লেট নির্মাণ বাবদ এক লাখ একাত্তর হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।  এছাড়া প্রতিটি ঘর নির্মাণ বাবদ ১০ ফুট ইটের খুঁটি ৬টি ও ৬ ফুট ইটের খুঁটি ৩টি ব্যবহার করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনরাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর পেয়েছে শায়েস্তাগঞ্জে। এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, প্রকৃত গৃহ ও ভূমিহীনদের ঘরগুলি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যাদের কোনো সহায়-সম্বল নাই তারাই মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছে। উপজেলায় ৫৫টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরকারি বিধি মেনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটি যাচাই-বাছাই করে মালামাল ক্রয় করছে এবং ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত