কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহে কাহিল চলনবিলের মানুষ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

‘কথায় বলে মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে’- চলনবিলাঞ্চলে এবার মাঘ মাসের শীত জেঁকে বসেছে। গত কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহ ও উত্তরের হিম শীতল বাতাসের কারণে শীত আর ও প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিলাঞ্চলে এখন চলছে ইরি-বোরো ধান লাগানোর মৌসুম। সমস্ত মাঠ পানিতে ভিজিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে শীত অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে। প্রচণ্ড শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকজন। শীতবস্ত্রের অভাবে সকাল থেকে সারা দিনই গ্রামাঞ্চলের মানুষদের খড়কুটো জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। শীতের পুরান কাপড়ের দোকানে প্রচণ্ড ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। শীত থেকে বাঁচতে ছোট-বড় সবাই শীতবস্ত্র পরিধান করে ঘর থেকে বের হচ্ছে। শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে। কনকনে হিমশীতল আবহাওয়া এবং ঘনকুয়াশার কারণে ইরি-বোরো ধান লাগানোর শ্রমিকরা মাঠে যেতে পারছেন না। যদিও যাচ্ছেন ঠাণ্ডার কারণে ঠিকমতো কাজ করতে চরম অসুবিধা হচ্ছে। ২ থেকে ৩ দিন কাজ করলে অনেক শ্রমিক ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তীব্র শীতের কারণে বিলের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদীতে তারা নামতে পারছে না। যার ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। তাড়াশ ওয়াবদা বাঁধের জেলে মো.  ফজল আলী জানান, ‘এবারের খুব জাড়ে (শীতে) মাছ ধরবার পারতিছি না। অন্যকাজ করব্যারও পারি না। তাই ছাওয়াল পাল নিয়া খুব কষ্টে আছি।’ উত্তর মথুরাপুর গ্রামের কৃষক আসাদ আলী জানান, ইরি-বোরো ধান লাগানোর কামলা (শ্রমিক) ১-২দিন জমিতে ধান লাগালে ৩য়দিন ঠাণ্ডার অজুহাতে আর আসে না। ওই জমিতে অন্য কামলা কাজ করে না। ফলে আমরা প্রচণ্ড শীতের কারণে ইরি- বোরো ধান লাগানো নিয়ে খুব অসুবিধায় পড়েছি।তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহেদুল হাসান বলেন, গত সোমবার সকাল পর্যন্ত চলনবিল এলাকায় সর্বনিম্নœ তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২-৩দিন তাপমাত্রা আরো  কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে