কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মহম্মদপুরে সার্ভার জটিলতায় অনিশ্চিত সহস্র্রাধিক শিক্ষার্থীর ভর্তি-উপবৃত্তি

মানবজমিন প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

জন্ম সনদ পেতে দুর্ভোগে পড়েছেন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের নাগরিকরা। সার্ভার-জনিত কারিগরি জটিলতায় এ সংকট চলছে প্রায় ২৫দিন ধরে। এতে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও উপবৃত্তি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিপাকে পড়েছেন এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা।জানা গেছে, উপজেলার ১৩৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৭৩জন শিক্ষার্থী জন্ম সনদ জমা দিতে পারেনি। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের ভর্তি-উপবৃত্তি। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা  গেছে, বিদ্যালয়ে ভর্তি-উপবৃত্তির ক্ষেত্রে জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির কার্যক্রম রূপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশ থেকে ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন ‘নগদ’-এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। শিওর ক্যাশে জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক না থাকলেও নগদ পোর্টালে জন্ম সনদ বাধ্যতালমূলক করা হয়েছে। কিন্তু সার্ভার জটিলতার কারণে উপবৃত্তির তথ্য সঠিক সময়ে জমা দেয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এর আগে ১৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্য জমা দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। এর মধ্যে কেউ তথ্য জমা দিতে না পারায় আবার ২৫ তারিখ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম সনদ নিতে আসা এক অভিভাবক বলেন, দশদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদে ঘুরছি। কিন্তু জন্ম সনদ পাইনি। তারা বলেনÑ সার্ভার ডাউন। এদিকে স্কুল থেকে স্যারেরা চাপ দিচ্ছেন। উত্তর কুঠিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছুক মাহির বাবা ওবায়দুর রহমান বলেন, আমার ছেলের ভর্তির জন্য জন্ম নিবন্ধন চেয়েছেন শিক্ষকরা। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে গেলে তারা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিতে পারেন না। সনদ না হলে নাকি ভর্তি, উপবৃত্তি কোনোটাই হবে না। আমি এক বিপাকে পড়েছি।উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা কৃষ্ণ চক্রবর্তী বলেন, তার পরিষদে ককেশ’ জন্ম নিবন্ধন আবেদন জমা পড়েছে। সাত-আটদিন ঘুরেও অনেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ বের করে নিতে পারেনি। গভীর রাতে ও ভোরে সার্ভার খুলে দুই-একটা জন্ম নিবন্ধন করতে পারি। কোনো কোনোদিন তাও পারি না। কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, স্কুলে ভর্তি হতে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। জন্ম নিবন্ধন ছাড়া অনেকেই বাচ্চাকে ভর্তি করাতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ বলেন, আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্ভার ডাউন থাকায় জন্ম নিবন্ধন পেতে সমস্যা হচ্ছে। সার্ভার আপডেটের কাজ শেষ হলে আশা করছি বিষয়টির সমাধান হবে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত