কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গফরগাঁওয়ে ঘর পাচ্ছে ২০০ ভূমিহীন পরিবার

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ২০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত হচ্ছে আধাপাকা ঘর স্বপ্ননীড়।প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সরকারি খাস জমিতে এসব ঘর নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। বরাদ্দপ্রাপ্ত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী ২৩শে জানুয়ারি সারা দেশে একযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধনের পরপরই স্বপ্ননীড়ের ঘরগুলো গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, “আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” মুজিববর্ষে এ স্লোগান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খাস জমিতে গৃহহীন ও ভূমিহীন ২০০ পরিবারকে আধাপাকা ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। উপজেলার চরমছলন্দ গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের স্ত্রী আয়েশা আক্তার (৬১)। বিয়ের বছরেই ব্রহ্মপুত্রের করাল গ্রাসে তাদের ভিটেবাড়িসহ সমস্ত জোত-জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রায় সাড়ে তিন যুগ ধরে অন্যের জায়গায় ঝুপরি বেঁধে কিংবা সরকারি অফিসের বারান্দায় রাত্রিযাপন করছে আয়েশা আক্তারের পরিবার। অভাবের সংসারে তার স্বামী কিংবা দিনমজুর ছেলে হারুন (৪০) এক টুকরো জমি ক্রয় করে ঘর করতে পারেনি। আয়েশা আক্তার প্রতিদিন চরমছলন্দ কাছারীপাড়া এলাকায় তাদের জন্য নির্মাণাধীন ঘরগুলো দেখে যায়। এ সময় তার চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক খেলে যায়। জানতে চাইলে দু’হাত আকাশে তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করে তিনি বলেন, ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিসহ জীবনটাই কেটেছে ঝুপড়ি ঘরে। টাকা-পয়সার অভাবে ঘর করতে পারেনি। বর্ষা ও শীতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরে থাকবো আর কষ্ট হবে না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, প্রতিটি পরিবারের জন্য দুই শতাংশ খাস জমি বরাদ্দ দিয়ে ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। বাথরুম, গোসলখানা, বারান্দাসহ দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধাপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় এক লাখ ৭১ হাজার টাকা।উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নে ১৬টি, সালটিয়া ইউনিয়নে ১৩টি, রাওনা ইউনিয়নে ১টি, গফরগাঁও ইউনিয়নে ৭টি, দত্তেরবাজার ইউনিয়নে ৪৮টি, পাঁচবাগ ইউনিয়নে ৫২টি, টাংগাব ইউনিয়নে ১৮টি, লংগাইর ইউনিয়নে ১৩টি, পাইথল ইউনিয়নে ১৬টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সঠিকতা ধরে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত