কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রিকশা নিয়ে সিদ্ধান্তে অনড় মেয়র আরিফ

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

৫ দিন ধরে জটলা নেই জিন্দাবাজারে। যানজটও কমে গেছে। ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে চলছে মানুষ। কোথাও কোনো ঝামেলা নেই। কেন এমন হলো- এ প্রশ্নের উত্তর জিন্দাবাজারের চতুর্দিকে নেই রিকশা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রিকশা, ভ্যানগাড়ি ও ঠেলাগাড়ি চলাচল। তবে সাময়িক অসুবিধায় জিন্দাবাজারের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসা কমে গেছে দাবি করে ইতিমধ্যে তারা গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে মেয়রের কাছে পত্র দিয়েছেন। কিন্তু মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তার সিদ্ধান্তে অনড়। জিন্দাবাজারকে জঞ্জালমুক্ত করতেই তিনি নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। একটি ভুল সিদ্ধান্তে যাতে সব অর্জন শেষ হয়ে না যায় সেদিকে নজর রাখছেন তিনি। সিলেটের মডেল সড়ক হিসেবে ইতিমধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে কোর্টপয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা সড়ক। এ সড়কের চিত্র ধীরে ধীরে ফুটে উঠছে। এতে খুশি হচ্ছেন সিলেটের উন্নয়ন প্রত্যাশীরা। ১লা জানুয়ারি থেকে এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এটি কার্যকর করতেও বেগ পেতে হয় মেয়র আরিফকে। পরে তিনি নেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতা। মডেল সড়কের পুরোটাই হচ্ছে জিন্দাবাজার কেন্দ্রিক। চারটি রাস্তার মিলনস্থল জিন্দাবাজার। দু’টি রাস্তায় রিকশা চলাচল বন্ধ করে সফল হচ্ছিলেন না মেয়র আরিফ। এ কারণে সিদ্ধান্ত নিয়েই তিনি ৩রা জানুয়ারি থেকে জিন্দাবাজারের পূর্ব দিকে বারুতখানা পয়েন্ট ও পশ্চিম দিকে জল্লারপাড় পয়েন্টে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। রিকশা না থাকায় প্রায় সব পথচারীই হেঁটে প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন। এমনকি তারা কেনাকাটা করছেন পায়ে হেঁটে। জিন্দাবাজারে রাস্তায় যানবাহন পার্কিংয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। অবৈধ পার্কিং ঠেকাতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিদিনই অভিযান চালানো হচ্ছে। এতে করে মোটরসাইকেল কিংবা যানবাহনের মালিকরা মার্কেটের নিজস্ব পার্কিংয়ে গাড়ি রাখছেন। এখনো সেটি পুরোপুরি হয়ে উঠেনি। এক্ষেত্রে মার্কেট মালিক ও ব্যবসায়ীদের সহায়তা চান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, কোনো কাজ একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। মার্কেট মালিক ও ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করলে কঠিন কাজ সহজ হয়ে যায়। এছাড়া জিন্দাবাজারকে যানজট মুক্ত রাখতে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এদিকে- সিলেটের কোর্ট পয়েন্ট-জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে মেয়র বরাবর সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরীর কাছে সিলেট মহানগরের ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি দিয়েছেন। গত বুধবার বিকালে তারা এ স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপির অনুলিপি দিয়ে সিলেট জেলা প্রশাসক, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতিকে অবহিত করা হয়। স্মারকলিপিতে ব্যবসায়ীবৃন্দ বলেন, গত ৩রা জানুয়ারি থেকে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিলেট মহানগরীর ব্যাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল কোর্ট পয়েন্ট-জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা এলাকায় রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করেন। এতে করে বিভিন্ন মার্কেট, শপিং মলে ক্রেতা-সাধারণ আসতে অসুবিধা হওয়ায় সব ধরনের ব্যবসা বাণিজ্যে মারাত্মক ধস দেখা দিয়েছে। প্রতিটি মার্কেট ক্রেতাশূন্য অবস্থা বিরাজমান। এজন্য তারা সিলেট নগরীর অভিভাবক হিসেবে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ও জনসাধারণের চলাচলের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে আগের মতো রিকশা চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম, সদস্য-সচিব কিবরিয়া হোসেন নিঝুম, রাজা ম্যানশন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাসুদ হোসেন খান, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, মোটরসাইকেল পার্টস্‌ মার্চেন্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজওয়ান আহমদ, মিতালী ম্যানশন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক প্রমুখ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত