কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পেছাচ্ছে এসএসসি এইচএসসি

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ায় আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা যথা সময়ে হচ্ছে না। নতুন বছরে মাধ্যমিক পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়া হবে লটারির মাধ্যমে। এর থেকে ভালো কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মন্ত্রী বলেন, মেধা নয় ভাগ্যনির্ভর ভর্তি এটি। লটারির মাধ্যমে এবার প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে না। এজন্য বিকল্প বিভিন্ন বিষয় ভেবেছি। শেষ পর্যন্ত ৩টি বিকল্প প্রক্রিয়া নিয়ে ভাবা হয়। এক- স্বাভাবিক নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া। কিন্তু করোনার এই সময়ে এটি করতে চাচ্ছি না। এমসিকিউ পদ্ধতির কথাও চিন্তা করেছি, কিন্তু তাতেও ঝুঁকি থাকে। দ্বিতীয়- অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা। তবে সব ভর্তিচ্ছুদের পক্ষে এটা সম্ভব হবে না। তৃতীয়- লটারির মাধ্যমে ভর্তি। এবার আমরা তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।চলমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই সময়ে গতকাল ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলন ডাকেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বিস্তারিত ৭ই ডিসেম্বরের মধ্যে জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও ভর্তির কার্যক্রম পরিবর্তনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এবার ভর্তি কার্যক্রমে কিছু পরিবর্তন আসছে। এবার ক্লাস্টারে ৫টি স্কুলকে পছন্দ দেবার সুযোগ পাবে ভর্তিচ্ছুরা। এ ছাড়াও রাজধানীতে ক্যাচমেন্ট এরিয়া ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। যদিও দেশে প্রথম শ্রেণিতে আগে থেকেই লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম চলে আসছে।  আর অভিভাবক ঐক্য ফোরাম এক বিবৃতিতে সিদ্ধান্তটিকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি জানান।এভাবে ভর্তিতে মেধাবীরা কতটা বঞ্চিত হবেন? এই বিষয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আসলে আমাদের দেশে মেধার বিচার করা হয় শিক্ষার্থীদের ছোট বয়স থেকেই। একটা শিক্ষার্থীর মেধার বিকাশকে কখনোই ১৬ বছর বয়সের আগে ধরে নেয়া উচিত নয়। কারণ এই বয়সের আগে বিকাশ হয় না তাদের।আর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেহেতু এই সময়টাতে টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান সেহেতু তারা ভালো শিক্ষকদের কাছেই শিখতে পারছেন। আর তিনি ফের বলেন, এবারের ভর্তি হচ্ছে ভাগ্যনির্ভর।এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, করোনার এই সময়টাকে বিবেচনা করতে হবে। কারণ এই সময়টাতে শিক্ষার্থীদের জীবনের থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু হতে পারে না। স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনামে একটু কমতি হতে পারে কিন্তু এই মুহূর্তে এটাই ভালো সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি।এইচএসসি’র ফল ডিসেম্বরেই, পিছিয়ে যাচ্ছে ২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা: আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ভার্চ্যুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আগামী বছর যাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা তাদের জন্য তিন মাসে শেষ করা যায় এমন একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। তাদের তিন মাস ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে আমরা তাদের তিন মাস ক্লাস করাতে চাই। সে কারণে হয়তো এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দুই-এক মাস পিছিয়ে যাবে। এইচএসসি’র ফলের বিষয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, করোনার কারণে বাতিল হওয়া এ বছরের এইচএসসি’র ফলাফল ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। এবারের এইচএসসি’র ফলাফল প্রকাশ করা হবে জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে। এসএসসি’র ৭৫ শতাংশ এবং জেএসসি’র প্রাপ্ত ফলের ২৫ শতাংশকে গুরুত্ব দেয়া হবে।সব বিশ্ববিদ্যালয়কেই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আসার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর: গুচ্ছ পরীক্ষা না হলে ভর্তিচ্ছুদের বিশাল ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেকে মসজিদে রাত কাটান। আবার ছাত্রীদের সেই সুযোগও নেই। এর সঙ্গে আর্থিক ক্ষতি তো রয়েছেই। আর করোনার কারণে এটা সম্ভবই না। এজন্য যারা এ প্রক্রিয়ায় আসছে না, তাদেরকে আবারো বিষয়টি ভেবে দেখার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।গতকাল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, যারা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আসছে না, এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আমরা কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। তবে তারা জনগণের স্বার্থবিরোধী কিছু করবে না বলে আশা করি। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিতে পারে। মেডিকেলে আমরা সারা দেশে একসঙ্গে ভর্তি করতে পারছি। তাহলে একটি করে পরীক্ষা নিয়ে কেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি করতে পারবো না? এরপরও কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যদি এককভাবে চলতে চান, তাহলে বিষয়টি তাদেরকে ভেবে দেখতে হবে।এক মাস পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের পরীক্ষা: এক মাসের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, অনার্সে অটোপাস দেয়ার সুযোগ নেই। এতে চাকরি জীবনে প্রভাব পড়তে পারে। সেজন্য এক মাস পরেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা শুরু হবে। এক মাস প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সুযোগ দেয়া হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, এইচএসসিতে অটোপাস দেয়া হচ্ছে বিশেষ কারণে। কারণ তাদের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপার রয়েছে। এরপর আর তাদের তেমন কিছু করার নেই। কিন্তু অনার্সের অনেকে অটোপাস দেয়ার দাবি করছেন। সেটা করার সুযোগ নেই। কারণ এতে পরে কর্মজীবনে প্রভাব পড়তে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত