কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ও একটি মিরাকল

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

ডা. ড্রিউ মিলার। তিনি জানেন তার রোগীকে স্থানান্তর করাতে হবে। ওদিকে ৩০ বছর বয়সী করোনা আক্রান্ত রোগীর অবস্থা একেবারেই নাজুক। তাকে নেয়া হয়েছে কানসাসের লাকিনে অবস্থিত কেয়ারনি কাউন্টি হাসপাতালে। সেখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়ার মতো উপকরণ নেই। এই হাসপাতালের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা মিলার। বড় বড় হাসপাতালগুলোতে তিনি যোগাযোগ করতে লাগলেন একটি আইসিইউ বেডের জন্য। কানসাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহভাবে দেখা দিয়েছে। ফলে তিনি একটি আইসিইউ বেড যোগাড় করতে সক্ষম হলেন না। এর পরের কাহিনী আরো ভয়াবহ। ওই যুবকটি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। সবাই আশা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু আশা ছাড়েননি ডাক্তার মিলার ও তার সহকর্মীরা। তারা ৪৫ মিনিট ধরে ওই যুবকের বুকে চাপ দিয়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাস ফিরিয়ে আনলেন। রক্ষা পেলেন ওই যুবক। তার পালস ফিরে এলো। ফলে এবার তাকে আর এই হাসপাতালে রাখা ঠিক হবে না। তাই তাকে একটি এম্বুলেন্সে তোলা হলো। উদ্দেশ্য ২৫ মাইল দূরে অবস্থিত একটি বড় হাসপাতালে নেয়া। ডাক্তার মিলারের কাছে এ বিষয়টি ছিল পুরোপুরি এক মিরাকল বা অলৌকিক ঘটনা। এক করোনা আক্রান্ত যুবকের বর্ণনা দিয়ে এসব কথা লিখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে আরো বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে আবারো বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে মধ্যপশ্চিমাঞ্চল- বিশেষ করে ওহাইও থেকে ডাকোটা পর্যন্ত ডজনখানেক রাজ্যে এই সমস্যা ভয়াবহ। যুক্তরাষ্ট্রের অন্য যেকোনো স্থানের চেয়ে সেখানে আক্রান্তের হার দ্বিগুন। কোভিড ট্রাকিং প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী, মধ্য জুন থেকে মধ্য নভেম্বর পর্যন্ত এসব রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ গুণেরও বেশি মানুষ। ১৯ শে নভেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে নর্থ ডাকোটায় দিনে প্রতি ১০ লাখ নাগরিকের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন গড়ে ১৭৬৯ জন। সাউথ ডাকোটায় এই আক্রান্তের হার ১৫০০। উইসকনসিন ও নেব্রাস্কায় প্রায় ১২০০। আর কানসাসে প্রায় ১০০০। এমনকি নিউ ইয়র্কে এপ্রিলে যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রকট আকার ধারণ করে তখন সেখানে প্রতি ১০ লাখে আক্রান্তের গড় সংখ্যা ছিল ৫ শতাধিক। মধ্যপশ্চিঞ্চলীয় এসব রাজ্যের হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা তাদের সক্ষমতার শেষ পর্যায়ে চলে এসেছেন অথবা কাছাকাছি। অনেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে একই রুমে একাধিক রোগী রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় কাজ করছেন। শিফট বাড়ানো হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে