কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিত্ত-বৈভব নয়, রাজনীতিকে ফিরিয়ে দিতে হবে রাজনীতিবিদদের কাছে

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১০:৫৩

শুধু অর্থ-বিত্তই একজন রাজনীতিবিদের যোগ্যতার মাপকাঠি নয়। সর্বশেষ মার্কিন নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের মাধ্যমে সেটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম গণতান্ত্রিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র এত বড় হুমকির মুখে আর কখনও পড়েনি।সিএনএন তার সংবাদ বিশ্লষণে বলেছে, ডনাল্ড ট্রাম্প মূলত যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকেই দুর্বল করছে। অন্যদিকে রিপাবলিকান পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ মনে করেন, ট্রাম্প তাদের দলের ভাবমূর্তিকে যতটা বিতর্কিত করেছে, ১৮৫৪ সালে সৃষ্ট ঐতিহ্যবাহী এ দলটির এত বড় ক্ষতি আর কেউ করেনি।২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের বিত্ত-বৈভব সবচেয়ে বড় নিয়ামক শক্তি হিসাবে কাজ করেছে। অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা রাষ্ট্রীয় কর ফাঁকি দিয়ে গড়ে তোলা ট্রাম্পের বিপুল ধন-সম্পদের দৌরাত্বে রীতিমত হারিয়ে গেছেন। বিশ্ব রাজনীতিতে চির প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়াও রাজনৈতিক আদর্শ বিবর্জিত স্বেচ্ছাচারী এই লোকটিকে নিয়ে খেলেছে ‘সুপার কূটনৈতিক খেলা’। ফলাফল, জিতে গেছে ট্রাম্প, হেরে গেছে মার্কিন গণতন্ত্র, নির্বাসিত হয়েছে বিশ্ব শান্তি। ত্রিশ লক্ষাধিক পপুলার ভোটে জিতেও জটিল নির্বাচনী ব্যবস্থার মারপ্যাঁচে জনপ্রিয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চোখের পানি ঝরেছে অঝোরে।এবার সর্বকালের সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে (৬০ লক্ষাধিক পপুলার ভোট ও ৭৪ ইলেকট্ররাল কলেজ ভোট) ট্রাম্পকে পরাজিত করেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। কিন্তু হার স্বীকার করছেন না ডনাল্ড ট্রাম্প। একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ আর হয়রানিমূলক মামলা করে চলেছেন।মার্কিন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইতিমধ্যেই জাতির অপূরণীয় ক্ষতি করে ফেলেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প।বাংলাদেশের রাজনীতিতেও বিত্ত-বৈভব মনোনয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কাজ করে সবচেয়ে বড় নিয়ামক শক্তি হিসাবে। রাজনীতিবিদরা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছেন রাজনীতি থেকে। ব্যবসায়ী- শিল্পপতিরা দখল করে নিচ্ছে জাতীয় সংসদ থেকে স্হানীয় পরিষদের পদগুলো। তাই রাজনীতির এই দৈন্যদশা।সত্যিকার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যারা রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠেন, তারা তাদের রাজনৈতিক আদর্শের পরিপন্থী কোন কিছু সহজে গ্রহণ করেন না। কিন্তু কালো টাকার দৌরাত্বে যারা রাজনীতিতে আসে, তারা রাজনীতিকে এক প্রকার ব্যবসা হিসাবে মনে করে। এসব তথাকথিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দল, সংসদ কিংবা নিজের নির্বাচনী এলাকার জনগণকে কিছুই দেবার ক্ষমতা রাখে না। বরং এক সময় দলের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।বড় দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করবে; দেশ, দল ও জনগণ ততই উপকৃত হবে। বিত্ত-বৈভব নয়; শিক্ষা, মেধা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাকে সকল ক্ষেত্রে মনোনয়নের মাপকাঠি হিসাবে দেখতে হবে। রাজনীতিকে ফিরিয়ে দিতে হবে রাজনীতিবিদদের কাছে।[লেখক দৈনিক ইত্তেফাক ও The New Nation পত্রিকার প্রাক্তন বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার, বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এবং সাবেক ডেপুটি এটর্নী জেনারেল]

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে