কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মাস্ক না পরলে আরো কঠিন সাজার কথা ভাবছে সরকার

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মানুষকে মাস্ক পরার জন্য বাধ্য করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা বাড়ানোসহ আরো কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। মানুষকে মাস্ক পরতে বাধ্য করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তিনি বলেছেন, বিষয়টি বেশি বেশি প্রচার করতে হবে। কারণ মাস্ক না পরলে যত কিছুই করা হোক কাজে আসবে না। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও সরকারের অবস্থান জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিভাগীয় কমিশনাররা জানিয়েছেন, মাস্ক না পরায় গতকাল কয়েক হাজার মানুষকে জরিমানা করা হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় গতকাল ৩৭টি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি আরো এক সপ্তাহ দেখা হবে। এরপর আরো শক্ত অবস্থান নেয়া হবে। শক্ত অবস্থানটি কী হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জরিমানা ৫০০ বা ১ হাজারের জায়গায় ৫ হাজার টাকা হতে পারে, দেখা যাক। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সময় বেশি করে মাস্ক সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে খুলনা ও চট্টগ্রাম ‘স্ট্রং অ্যাকশনে যাচ্ছে’ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজকেও বলেছেন, যেভাবেই হোক মানুষকে আরো বেশি বেশি করে প্রচার করো, ফোর্স করো, যেভাবেই হোক মানুষ যেন মাস্ক ব্যবহার করে। মাস্ক ব্যবহার না করলে ভ্যাকসিন বলেন, ওষুধ বলেন কোনো কিছুতেই কাজ হবে না। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঢাকা বিভাগে করোনাভাইরাস বেশি ছাড়ালেও রাজধানীর বাইরে ততটা ছড়াচ্ছে না। কারণ আমরা তো হাসপাতালের কন্ডিশন দেখছি, হাসপাতালে রোগী বেড়ে গেছে। তার থেকে মনে হচ্ছে এটা আরেকটু বেড়েছে। অনেক জায়গায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হচ্ছে না বলে সংক্রমণের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে না, এমনটা জানানোর পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সব জায়গায় তো পিসিআর মেশিন নেই। মেডিকেল কলেজে ১৫ দিন আগে যেখানে ৩০০ রোগী ছিল, গতকাল ৬০০ হয়ে গেছে। গত রোববার কমিশনার সভায় ধর্ম সচিব এবং শিক্ষা সচিব যুক্ত ছিলেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছে নিজ নিজ ক্ষেত্রে ম্যাসিভ প্রচার করতে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে প্রতিদিনই মানুষ মারা গেলেও নানা অজুহাতে এখনো অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে বেশকিছু দিন ধরে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইন অনুযায়ী তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এই ট্রাস্টের সুবিধা যারা পাবেন, তারা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের কোনো সুবিধা পাবেন না। অর্থাৎ কোনো শিল্পী দুই ট্রাস্ট থেকে সুবিধা পাবেন না। এ ছাড়া বৈঠকে কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে জানানো হয়। এ ছাড়া বৈদেশিক সহায়তা পরিস্থিতি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কেও মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত