অতিমারি রোখার জন্য প্রতিষেধকই যথেষ্ট নয়, সতর্কবার্তা হু প্রধানের
চূড়ান্ত পরীক্ষায় পাশ করেনি এখনও। তা সত্ত্বেও অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছে। কে, কত আগে নোভেল করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক বাজারে আনতে পারে, তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রতিষেধক আসা মাত্রই অতিমারির গতিরুদ্ধ হয়ে যাবে, তা মানতে নারাজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। প্রতিষেধক হাতে পেলে পরিস্থিতি সামাল দিতে সুবিধা হবে মাত্র। অতিমারির প্রকোপ একেবারে কেটে যাবে, তা নয়।
সব ঠিক থাকলে বছর শেষ হওয়ার আগেই করোনার প্রতিষেধক নিয়ে তারা হাজির হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে আমেরিকান সংস্থা ফাইজার ও তার জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক। সেই দৌড়ে শামিল হয়েছে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি এবং আমেরিকার মডার্না সংস্থার তৈরি সম্ভাব্য প্রতিষেধকও। সেই প্রতিষেধক হাতে পাওয়া নিয়েও প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশের মধ্যে।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন হু প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসাস। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিষেধক এলে অতিমারি সামাল দেওয়ার কাজে সুবিধা হবে। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে যে সমস্ত সরঞ্জাম রয়েছে, তাতে বাড়তি একটি যোগ হবে। বাকি সরঞ্জাম লাগবে না, শুধু প্রতিষেধক দিয়েই হবে, এমনটা কিন্তু নয়। প্রতিষেধকের একার পক্ষে অতিমারি দূর করা সম্ভব নয়।’’