কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সকলের প্রচেষ্টায় দেশ থেকে চিরতরে দারিদ্র্য দূর করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

মানবজমিন প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ থেকে চিরতরে দারিদ্র্য দূর করতে পারে। দারিদ্র্যবিমোচনে সরকারের পাশাপাশি দেশের বিত্তবানদের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, শুধু নিজে ভালো থাকবো, সুন্দর ও আরাম-আয়েশে থাকবো। আর আমার দেশের মানুষ, এলাকার মানুষ কষ্টে থাকবে, এটাতো মানবতা না, এটাতো হয় না। কাজেই সকলে মিলে চেষ্টা করলে দেশে আর কোনো দরিদ্র থাকবে না। গতকাল ‘মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষকে সরকারের সচিবগণের গৃহ উপহার’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খুব সাহসী। তাদের নিয়ে যুদ্ধ করেই জাতির পিতা দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। কাজেই বিজয়ী জাতি হিসেবেই বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলবো।সে সময় বিশ্বে অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনী হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনীর গর্বিত আচরণ স্মরণ করিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, তারা খুব গর্ব করতো, তাদের আবার কে হারাবে। কিন্তু বাঙালিরা তাদের হারিয়ে যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, পেশাজীবী বলেন বা ব্যবসায়ী বলেন বা যে যেখানেই আছেন প্রত্যেকের কাছেই আমার অনুরোধ থাকবে, যে যে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং যে গ্রামে জন্মেছেন তার উন্নয়নে যেন সহযোগিতা করেন। করোনার মধ্যে তার সরকারের গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সাহায্য পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টার উল্লেখ করে সরকারপ্রধান আরো বলেন, যারা বিত্তশালী তারা নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যেকেই দুস্থদের দিকে যেন ফিরে তাকান। গৃহহীনকে ঘর করে দেন বা তাদের কিছু সাহায্যের ব্যবস্থা করে দেন। তিনি সচিবগণের এই গৃহহীন প্রকল্প গ্রহণকে একটি মহৎ উদ্যোগ আখ্যায়িত করে এ জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানুষের জন্য কিছু করার চিন্তা-ভাবনা থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আজকে যে মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। একটা ঘর করে দিয়েছেন, একটা মহৎ কাজ আপনারা করেছেন।আমি মনে করি, ভবিষ্যতে মানুষজন আপনাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে এবং মানুষের পাশে দাঁড়াবে। ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠবে। জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করবো। মুজিববর্ষে দেশের সকল গৃহহীনকে ঘর করে দেয়ার সরকারের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সচিবদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৮০ জন সচিব নিজ নিজ এলাকায় ১৬০টি গৃহ নির্মাণ করে গৃহহীনদের দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী এবং এই মুজিববর্ষে (২০২০ সালের ১৭ই মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬শে মার্চ) আমাদের ঘোষণা বাংলাদেশে আর একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না।তিনি বলেন, তার সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হলেও আজকে নিজ নিজ এলাকার দরিদ্র অসহায় মানুষকে ঘর তৈরি করে দেয়ার মাধ্যমে সচিবরাও সরকারি এই উদ্যোগে শরিক হয়েছেন এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ এলাকায় দু’টি করে ঘর করে দিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই আজকে এই ঘর দেয়ার পর দুঃখী মানুষের মনে যে আনন্দটা আসবে, আমি মনে করি এটাই সব থেকে বড় পাওয়া। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে জাতির পিতার দেয়া ভাষণ সম্প্রচারের উল্লেখ করে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রাপ্তির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের জন্য কিছু করার তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত