কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সরকার দেশকে আরো মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে

মানবজমিন প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা অন্যের সহায়তা না নিয়ে আর্থ-সামাজিকভাবে স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরো মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছি। গতকাল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়ালি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। শেখ হাসিনার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পরিচালনা করেন এবং পুরস্কার বিজয়ীদের জীবন বৃত্তান্ত পড়ে শোনান। অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে প্রফেসর ডা. একেএমএ মুকতাদির অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন। এ বছর সরকার দু’জন মরণোত্তরসহ ৮ ব্যক্তি ও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, চিকিৎসাবিদ্যা, সংস্কৃতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২০’ এ ভূষিত করে। এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীরা হচ্ছেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, প্রয়াত কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ (মরণোত্তর), প্রয়াত বুদ্ধিজীবী মুহম্মদ আনোয়ার পাশা (মরণোত্তর) ও আজিজুর রহমান। চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. একেএমএ মুকতাদির। সংস্কৃতিতে কালীপদ দাস ও ফেরদৌসী মজুমদার। শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমস্‌। আজিজুর রহমান সমপ্রতি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। পুরস্কার হিসাবে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, সনদপত্র এবং ৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। প্রতিবছর ২৬শে মার্চ, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সরকার এ পুরস্কার প্রদান করে এলেও এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে যথাসময়ে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। যা গতকাল অনুষ্ঠিত হলো। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার যে স্বপ্ন, যে চেতনায় আমার লাখো শহীদ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন। তাদের এবং আমার লাখো মা-বোনের সেই আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেই আমরা এই বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। আমরা কেন অন্যের কাছে হাত পেতে, মাথা নিচু করে চলবো। কিন্তু ’৭৫ এর পর আমরা সেই সম্ভাবনা এবং অধিকার হারিয়ে ছিলাম। আসন্ন শীতে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে সরকার প্রধান বলেন, করোনাভাইরাসের আগমনে সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়লেও সরকার এটা মোকাবিলায় প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, যেন, দেশের মানুষ এর থেকে সুরক্ষা পায় এবং দেশের অর্থনীতির গতিশীলতা না হারায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যখন একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করলেন এবং ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পদক্ষেপ নিলেন ঠিক সেই মুহূর্তে ’৭৫ এর ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। এরসঙ্গে বাঙালি জাতিও তাদের সকল সম্ভাবনাকে হারিয়ে ফেলে। বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রী এদিনও জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকারী আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করে তাদের পুরস্কৃত করা, যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশ করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুনর্বাসন এবং ইতিহাস বিকৃতি তথা বঙ্গবন্ধুর নামকে ‘বাংলাদেশ এবং স্বাধীনতা’র থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টার অভিযোগে সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমানকে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে মিলিটারি ডিক্টেটর জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে কারাগারে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দেন। যদিও জাতির পিতা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এই বিচার শুরু করেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জনগণের সংবিধান স্বীকৃত প্রত্যেকটি মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং প্রযুক্তি শিক্ষার দিকেও তারা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০ বিজয়ীদের অভিনন্দিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা সমাজের জন্য জাতির জন্য এবং দেশের জন্য অবদান রাখেন তাদের সম্মান করা, গুণীজনের সম্মান করাটাও আমি মনে করি আমাদের কর্তব্য। সমপ্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইউরোপে যখন আসে এর ধাক্কাটা আমাদের দেশেও আসে। তিনি বলেন, আমরা এখন থেকেই প্রস্তুত, বিভিন্নভাবে তৈরি হচ্ছি এবং বিভিন্ন জেলা হাসপাতালকেও আমরা প্রস্তুত রাখছি। সবরকম চিকিৎসা এবং সেবার জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা সে পদক্ষেপ নিচ্ছি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত