কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মার্কিন নির্বাচন, পর্দার আড়ালে কি হচ্ছে?

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০, ১১:১৪

নির্বাচনে হেরে গেলে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কি আদালতের দ্বারস্থ হবেন, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। নির্বাচনী বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এমন আশংকা একেবারে অমূলক নয়। নির্বাচনে হারলে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন কি না এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, তাকে বুঝতে হবে ভাল করে। তার ভাষায়, স্বচ্ছ নির্বাচন হলে ক্ষমতা হস্তান্তর করার প্রয়োজনই পড়বে না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য বিবৃতি পর্যালোচনা করলে বিষয়টি পরিস্কার ও বোধগম্য হয়ে ওঠে সকলের কাছে। নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অনীহা, জালিয়াতি না হলে তিনি হারতেই পারেন না এমন ধারণা ও সর্বশেষ গত সোমবার এক টুইটে নির্বাচনের শেষে রাতের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করার দাবি এই আশংকাকে ক্রমেই জোরালো করে তুলছে। কি ঘটে চলেছে পর্দার আড়ালে?নির্বাচনের শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ডাকযোগে ভোটে জালিয়াতির কথা বলে আসছেন বেশ জোরেশোরে। যেনতেন ভাবে হলেও প্রেসিডেন্ট পদ দ্বিতীয় বার আঁকড়ে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তিনি। ক্ষমতা ছাড়তে একেবারে নারাজ। বাইডেন বিজয়ী হলে ট্রাম্প কি কোর্টের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করতে অথবা ফলাফল আটকে দিতে পারবেন এমনপ্রশ্নে অনেকেই ২০০০ সালে ডেমোক্রেট প্রার্থী আল গোর ও রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ বুশের সময়কে স্মরণ করছেন। সে সময় সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে জর্জ বুশ প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। আর এটি কোনো ষড়যন্ত্র তথ্য নয়। প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম কোর্টের জাস্টিস রুথ গ্রিন্সবার্গের মৃত্যুর পর গতমাসে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে বলে ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের শূন্য আসন পূরণ খুবই জরুরি। কেননা আগামী নির্বাচন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার ভার তাঁদের হাতেই থাকবে। এ থেকে প্রেসিডেন্টের মনোবাসনা কী তাও অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠছে। তিনি কি চাইলেই তা করতে পারবেন?এমন প্রশ্নে অনেকে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করলেও নির্বাচনের ফলাফলের উপর এবিষয়টি বহুলাংশে নির্ভরশীল এমনটাই বলছেন পর্যবেক্ষকরা। বাইডেন এবং ট্রাম্পের ভোটের পার্থক্য এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রাখবে। বাইডেন নিজের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে যতটা বাড়াতে পারবেন সেক্ষেত্রে ততখানি শংকা মুক্ত থাকবেন তিনি ও তার দল। এছাড়া সিনেট ও কংগ্রেসে কোন দলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয় সেটিও বিবেচ্য নানা কারণে। বর্তমান অবস্থায় সিনেটে ৫৩ বনাম ৪৭ ভোটে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। যদিও কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ একচ্ছত্র ডেমোক্রেটদের হাতে রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ছাড়াও কংগ্রেস এবং সিনেটের এই দু’টির কর্তৃত্ব ডেমোক্রেটদের হাতে আসার সম্ভাবনা শতকরা ৮০ ভাগের বেশি। জরিপের ফলাফল বলছে, ডেমোক্রেটরা এবারও কংগ্রেসে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হতে চলেছে। অন্যদিকে, রিপাবলিকান পার্টি কমপক্ষে সিনেটেও তাদের ৫টি আসন হারাতে বসেছে। আর এমন হলে সবক্ষেত্রে বাইডেনের পাল্লাই ভারী থাকবে। রিপাবলিকান শিবির বা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে পদক্ষেপই নেন না কেন জটিল সব অংক কষেই সামনে এগুতে হবে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে, এরকমই ধারণা বিশ্লেষকদের। শেষ পর্যন্ত বহু কিছু ঘটতে পারে এরমধ্যে। তবে আদালতের পথ খুব একটা মসৃণ হবে না নানা বিচারে এমনটা বলা যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে