৫০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে সরাইলের এসি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে রিট
খাল উদ্ধারের নামে অন্যের বাড়ির জায়গায় খাল করার ঘটনায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা হয়েছে সরাইলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে। কোনো নোটিশ ছাড়া ওই বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। বাড়িতে লাগানো প্রায় শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলা হয় ফারজানার নির্দেশে। গত ৩০শে সেপ্টেম্বরের এ ঘটনায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বাড়ির মালিক সরাইলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলাল। গত ১৩ই অক্টোবর হাইকোর্টে রিট (রিট পিটিশন নং ৭১৬৬) করেন তিনি। এর আগে ১১ই অক্টোবর সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক, সরাইলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। রিট পিটিশন ও লিগ্যাল নোটিশে ঘটনার বিষয়ে বলা হয়, ৩০শে সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় পূর্ব কোনো নোটিশ ছাড়াই সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াঙ্কা পুলিশ ফোর্সসহ শ্রমিক নিয়ে ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলালের বাড়িতে আসেন। এরপর ভেকু দিয়ে মাটি খনন ও করাত দিয়ে গাছগাছালি কাটার নির্দেশ দেন। এর কারণ জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দুলালকে গ্রেপ্তার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ার হুমকি দেন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত ওই অভিযানে ব্যবসায়ীর নিজের জায়গায় লাগানো ৯০ থেকে ১শ’টি গাছ কর্তন করা হয়। পরে সেগুলো ট্রাক ও ট্রাক্টরে ভরে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার এবং মানসিক ও আর্থিকভাবে আরো ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার আবেদনে উল্লেখ করেন ব্যবসায়ী দুলাল। এ ছাড়া অভিযানে বিদুৎ ও গ্যাস সংযোগও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। অভিযানে যে জায়গাটি খনন করা হয় সেটি সরাইল-কালিকচ্ছ-নাসিরনগর রাস্তার (সিএনবি রোড) পূর্ব পাশে অবস্থিত এবং ভূমির রেকর্ডপত্রে নয়নজুলি শ্রেণীর বলে উল্লেখ রয়েছে। মামলার আবেদনে ওই কর্মকর্তার এমন করার কারণ ব্যাখ্যায় বলা হয়, এই ঘটনার আগে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবসায়ী দুলাল ও তার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর রোজিনা ভূঁইয়ার অনুকূলে ওই বাড়ির বিএস রেকর্ড অনুযায়ী দাগ নম্বর সংশোধন করার জন্যে সহকারী কমিশনার(ভূমি) র দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুলাল। কিন্তু তাতে সময় ক্ষেপণ করেন সহকারী কমিশনার ফারজানা। এর আগে কাজটি করার বিনিময়ে অবৈধভাবে নিজের চাহিদার কথা জানান। সেটি পূরণ না করায় সহকারী কমিশনার তার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং পরবর্তীতে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ফারজানা প্রিয়াঙ্কা বলেন, মামলার বিষয়ে তিনি কোনো কিছু জানেন না।
- ট্যাগ:
- অন্যান্য সংবাদ