কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গঙ্গাচড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় গতকাল মাঠেরপাড় বাজারে স্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বামী খবির উদ্দিন। তিনি বলেন, গত ১৯শে অক্টোবর স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তাহা মিথ্যে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। স্ত্রী নাসিমা বেগমকে নিয়ে খবির উদ্দিন বলেন, প্রকৃত ঘটনা হলো বিগত ২ বছর পূর্বে আমি ও আমার স্ত্রী নাসিমা বেগম ঢাকায় চাকরি করতে যাই। দীর্ঘদিন থাকার পর একপর্যায়ে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হলে আমরা বাড়িতে আসার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে না এসে ঢাকায় থেকে যায়। দীর্ঘ ৬ মাস যাবত তাকে বাড়ি আসার কথা বলে ব্যর্থ হয়ে আমি ১০০ ধারায় স্ত্রীর কাছে কোর্ট মারফত নোটিশ প্রদান করি কিন্তু আমার স্ত্রী নোটিশ গ্রহণ না করে ২০১৯ সালে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা যৌতুক মামলা দায়ের করেন। আমি স্ত্রীর জন্য দেড় বছর অপেক্ষা করে তার বাড়িতে ফিরে আসার জন্য, সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে গত ২ মাস পূর্বে প্রথম স্ত্রী নাসিমাকে মোবাইলের মাধ্যমে জানিয়ে দ্বিতীয় বিবাহের সিদ্ধান্ত নেই। দ্বিতীয় বিবাহের ১৫-২০ দিন পর আমার প্রথম স্ত্রী নাসিমা বেগম দীর্ঘ ২ বছর পর বাড়ি আসে এবং আমার দ্বিতীয় বিবাহ মেনে নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকে। দুইদিন সংসার করার পর আমার স্ত্রীর দায়েরকৃত নারায়ণগঞ্জের মামলায় আমি ৩৩ দিন জেল হাজতে থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি চলে আসি। ইতিপূর্বে আমার স্ত্রী বলেন, আমাকে জামিন করতে সহায়তা করলে তাকেও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়। আমার কন্যা নিলুফা বেগমকে দিয়ে আমার স্ত্রী আমাকে অবগত না করে তার ইচ্ছায় মো. বুলবুল মিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে বেহায়াপনা কাজকর্মে লিপ্ত করেন। একপর্যায়ে জানাজানি হলে বুলবুল বিবাহ করতে অস্বীকার করলে আমার স্ত্রী বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ও পরবর্তীতে থানা পুলিশ ছেলে-মেয়েকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। আমার স্ত্রী কোর্টে মুচলেকা দিয়ে মেয়ে এবং ছেলেকে নিয়ে আসেন এবং কোর্টের মাধ্যমে মীমাংসা করে আমাকে না জানিয়ে বিবাহ দেন। এ বিষয়ে আমার পরিবারের লোকজন খোঁজখবর নিতে গেলে তাদের উপর আমার স্ত্রী চড়াও হন এবং তাদের বিরুদ্ধে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। জেল থেকে ছাড়া পেলে আমি গত ৩০/০৯/২০২০ তারিখে পেশায় ড্রাইভার হওয়ায় স্ত্রীর নিকট জমা রাখা ড্রাইডিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফেরত চাইলে সে ফেরত না দিয়ে আমাকে ভয়ভীতি, হুমকি প্রদান করে এবং ধর্ম ভাই আল ইমরানসহ ঘরের মূল্যবান জিনিষপত্রাদিসহ ধর্ম বাবার বাড়িতে চলে যায়। তার ধর্ম ভাইয়ের সহযোগিতায় আমিসহ আমার ছোট ভাই নুর আলম ও আরো ৪ জনের বিরুদ্ধে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে এবং মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা এসআইকে জড়িয়ে মিথ্যা বিভ্রান্তিকর অভিযোগ করে মিথ্যা সাংবাদিক সম্মেলন করে মামলা রুজু করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খবির উদ্দিন। এ সময় আলম মিয়া, মতিয়ার রহমান, সুজন মিয়া, নুর আলমসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে