কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

খুলনা জেলা যুবলীগের স্থবিরতা খুব শিগগিরই আহ্বায়ক কমিটি

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ও অভিভাবকহীনতা কাটিয়ে প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠছে খুলনা জেলা যুবলীগ। শিগগিরই আসছে আহ্বায়ক কমিটিও। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। শুক্রবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে জেলা যুবলীগের অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে- আগামী ৩১শে অক্টোবর বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঝিমিয়ে থাকা সংগঠনটি নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা-সমালোচনা চলছে ঘরে-বাইরে।দলীয় সূত্র মতে, ২০১৫ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের নয় মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান জামাল ও সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাবুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করায় নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে জেলা যুবলীগ। টানা তিন দফায় সরকার গঠনের ফলে আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড খ্যাত এ সংগঠনটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী থাকলেও স্থবির হয়ে পড়ে জেলা যুবলীগ। ঘরে-বাইরে নানা বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়।এদিকে, শুক্রবার বিকাল ৩টায় সংগঠনের কার্যালয়ে জেলা যুবলীগের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১০ ও ১১ই নভেম্বর দু’দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংগঠনটি। আগামী ৩১শে অক্টোবর খুলনা জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় বক্তৃতা করেন এবিএম কামরুজ্জামান, আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ, জলিল তালুকদার, জামিল খান, এডভোকেট নুরুল আমিন, মো. হারুন মোল্যা, এফএম মফিজুর রহমান, মো. জামাল হোসেন ও প্রদীপ বিশ্বাস প্রমুখ। সভায় জেলা যুবলীগের সদস্য নন, এমন ব্যক্তিদের সদস্যপদ ব্যবহারের ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন নেতৃবৃন্দ।এর আগে, গত ১৬ই সেপ্টেম্বর জেলা যুবলীগের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে নতুন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিলেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু। তিনি অভিযোগ করেন, জেলা যুবলীগ এখন কতিপয় নেতা পকেট ও প্যাড সর্বস্ব কমিটিতে পরিণত হয়েছে। যে প্যাড ব্যবহার করে অর্থ আয়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। অনেকেই যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা ও কমিটিতে যোগদান অব্যাহত রেখেছে। যা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও সংগঠন পরিপন্থি। ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের ভাবমূর্তিকে ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন জেলা যুবলীগের সর্বশেষ এই সাধারণ সম্পাদক।যুবলীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা জানিয়েছেন, খুলনা জেলা যুবলীগের বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জানেন। শিগগিরই জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেই আহ্বায়ক কমিটি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সম্মেলনের মধ্যদিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করবে।প্রসঙ্গত্ব, গত বছরের সেপ্টেম্বরে খুলনা মহানগর যুবলীগে মো. শফিকুর রহমান পলাশকে আহ্বায়ক ও শেখ শাহজালাল হোসেন সুজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। করোনা পরিস্থিতিসহ নানা কারণে মহানগর যুবলীগের কমিটির পূর্ণতা দেয়া সম্ভব হয়নি বলে দাবি নেতৃবৃন্দ। তার আগে ১১ বছর কেটেছিল মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটিতেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত