কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গোপালপুরে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

গোপালপুরে এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে মির্জাপুর ইউনিয়নের কাগুজিআটা মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার কাগুজিআটা, মোহনপুর, নুঠুরচর, মির্জাপুরসহ ১০-১২টি গ্রামের নারী ও শিশুসহ দুই শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। সাবেক ব্যাংকার আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শেখ রাসেল, লাকি আখতার, শেখ ফরিদ, ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক, ইউপি সদস্য আবুল হানিফ প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে এক ব্রিফিংয়ে গ্রামবাসীরা জানান, ২০১৩ সালে কাগুজিআটা গ্রামের মৃত আনছের আলীর কন্যার সঙ্গে একই গ্রামের মৃত আ. সালামের পুত্র শফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। দাম্পত্য কলহের জেরে গত মার্চে মৌখিক তালাকে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এমতাবস্থায় শফিকুলের সঙ্গে ঘাটাইল উপজেলার রৌহা গ্রামের এক যুবতীর বিয়ে ঠিক হয়। গত বুধবার এ বিয়ে হবার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের দু’দিন আগে গত সোমবার বিকালে ওই কলেজছাত্রী প্রাক্তন স্বামী শফিকুলকে পুনরায় পাওয়ার আশায় তার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এ সময় বাড়ির লোকজন তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ঘরে ওঠাতে বাধা দেন। এতে ঝগড়ার   একপর্যায়ে সে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সন্ধ্যা ৭টার পর তাকে একটি ইজিবাইকে তুলে বাবার বাড়ি নিয়ে মায়ের হেফাজতে দেয়া হয় বলে মানববন্ধনে জানানো হয়।মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হানিফ মিয়া জানান, গ্রামের দুই শতাধিক মানুষ রাত ১০টা পর্যন্ত ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে তালাক ও পুনঃবিবাহ নিয়ে সালিশ করেন। সালিশের একটি ভিডিও করা হয়। রাত হয়ে যাওয়ায় সালিশ অমীমাংসিত রাখা হয়। রাত ১০টার পর গ্রামবাসী যার যার বাড়িতে চলে যান। পরদিন বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং টেলিভিশন চ্যানেলের খবর থেকে গ্রামবাসী জানতে পারেন আগের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ওই কলেজছাত্রী অপহরণের পর ধর্ষিত হন। গ্রামবাসী এ বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার, ভুল তথ্য দিয়ে এক শ্রেণীর মিডিয়াকে বিভ্রান্ত করে অপপ্রচার এবং নিরীহ মানুষকে হয়রানির পাঁয়তারা বন্ধের দাবি জানান। তবে মামলার বাদী তাছলিমা বেগম জানান, শফিকুলের সঙ্গে তার কন্যার কোনো বিয়ে হয়নি। ওইদিন সন্ধ্যায় শফিকুলের বাড়িতেও সে যায়নি। মোহনপুর বাজার থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ব্রিজ থেকে আসামিরা তাকে অপহরণ করে এবং বাড়িতে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ করেন।তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে এখন টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। গত পরশু তার মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তিনি পাঁচজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ধর্ষকরা সবাই ছাত্রলীগ করেন বলে জানান তিনি।গোপালপুর থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, ভিক্টিমের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার মা তাছলিমা বেগম বাদী হয়ে গত ২০শে অক্টোবর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযোগের সত্যতা নিয়ে তদন্ত করছে। মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা এটি গণধর্ষণ কিনা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত