ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ও ভিকটিমের ডিএনএ টেস্ট বাধ্যতামূলক
সংশোধিত আইনে মানুষের মাঝে যেন এক ধরনের স্বস্তি ফিরেছে। নতুন আইনে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত এবং ভিকটিম উভয়ের ডিএনএ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে কম সময়ের মধ্যেই অপরাধী সনাক্ত করা যাবে।
তবে ধর্ষণ মামলা প্রমাণে মেডিকেল রিপোর্ট মুখ্য নয়। পারিপার্শিক অবস্থা ও সাক্ষ্য বিবেচনায় নিয়েও দেয়া যাবে সাজা। বুধবার বিচারপতি রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন। সেইসঙ্গে কোনো ভুক্তভোগী দেরিতে মামলা করলে সেটি মিথ্যা বলা যাবে না।
ধর্ষণের মামলার সংজ্ঞায় বলা আছে, মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া কোনোভাবেই সাজা দেয়া যাবে না আসামিকে। ধর্ষণ মামলা প্রমাণ করতে তাই অন্যতম অস্ত্র মেডিকেল রিপোর্ট। তবে বুধবার আদালত তার রায়ে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র মেডিকেল রিপোর্ট না থাকার কারণে ধর্ষণের মামলা অপ্রমাণিত বলে গণ্য হবে না। ভুক্তভোগীর মৌখিক ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য দ্বারা আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তার ভিত্তিতে আসামিকে সাজা প্রদান করা যেতে পারে। তাই মেডিকেল রিপোর্ট না থাকার কারণে যে আসামি ধর্ষণ করেনি মর্মে খালাস পেয়ে যাবে, এই অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- ডিএনএ পরীক্ষা
- ধর্ষণ মামলা
- অভিযুক্ত